তৃতীয় দিন শেষে ৭৫ রানে এগিয়ে থাকা স্বাগতিকরা রোববার (৩ এপ্রিল) দিনের দ্বিতীয় সেশনে লিড এক উইকেটে দুইশ রানের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। এরপর বাংলাদেশি বোলাররা ঘুরে দাঁড়ায় মিরাজ, এবাদত আর তাসকিনের অসাধারণ বোলিংয়ে।
যার ফলে বিনা উইকেটে ৬ রানে শুরু করা প্রোটিয়ারা এদিন অলআউট হয় ২০৪ রানে। প্রথম ইনিংসে ৬৯ রানে এগিয়ে থাকা স্বাগতিকদের বিপক্ষে ২৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দিনশেষে ১১ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ।
চতুর্থ ইনিংসের শুরু থেকে বোলিং করে প্রোটিয়াদের চাপে রেখেছিলেন মিরাজ। কাঁধে ব্যাথা নিয়েও অপর প্রান্ত থেকে চেপে ধরার চেষ্টা করেছেন তাসকিন আহমেদ ও এবাদত হোসেন।
কিন্তু ক্যাচ মিস আর রিভিউ নিতে না পারলেও এক এলগার ছাড়া পঞ্চাশ পেরুতে পারেননি। এলগার তাসকিনের বলে ফেরার আগে ১০২ বল খেলে ৭টি চারের সাহায্যে ৬৪ রান করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর রায়ান রিকেলটন (৩৯)।
বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন এবাদত হোসেন ও মেহেদি হাসান মিরাজ। এছাড়া তাসকিন আহমেদের দুই উইকেটর সঙ্গে বাকি দুজন ফিরেছেন রান আউট হয়ে।
বাংলাদেশের সামনে রেকর্ড গড়ে জয়ের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শেষ বিকেলটা অবশ্য রীতিমতো ভূতুড়েই কেটেছে বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ইনিংসে ১১ রান তুলতেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলেছে সফরকারীরা।
চতুর্থ ইনিংসে দ্বিতীয় ওভারেই সাদমান ইসলামকে হারায় বাংলাদেশ। পঞ্চম ওভারে বিকেলটা আরও বিষাদের বানান কেশভ মহারেজ। প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করা মাহমুদুল হাসান জয় ও অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভকে ফেরান দক্ষিণ আফ্রিকান এই স্পিনার। আলোকস্বল্পতার কারণে ২০ ওভার আগে দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ১১/৩।
ডারবানে বাংলাদেশকে জয় পেতে হলে আরও ২৬৩ রান করতে হবে। হাতে আছে আরও ৭ উইকেট ও তিন সেশন।