প্রথমে গোল হজম করার পর সমতায় ফেরা, এরপর আবার পিছিয়ে যাওয়া যেন জার্মানিকে ইউরোর চলতি আসরের সবচেয়ে কঠিন সময়ের পরীক্ষা নিয়েছে। হাঙ্গেরির নকআউট পর্বে যেতে হলো বাধ্যতামূলকভাবে জয় নিয়ে ফিরতে হতো অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনা থেকে। তবে শেষ পর্যন্ত জোয়াকিম লোয়ের দল ২-২ গোলে ড্র করে মূল্যবান এক পয়েন্ট আদায় করেছে। ফলে চতুর্থ হয়েই গ্রুপ পর্বে থামতে হয়েছে সফরকারীদের।
হাঙ্গেরি প্রথমে এগিয়ে যায় ১১তম মিনিটেই। রোল্যান্ড সালাইয়ের ক্রস থেকে দুর্দান্ত হেড করে গোল আদায় করে নেন অ্যাডাম সালাই। সেই হেড ঠেকানোর ক্ষমতা ছিল না ম্যানুয়েল নয়্যারের। এরপর ২১তম মিনিটে ম্যাট হুমেলসের শট বারে লেগে ফিরে আসা যেন দুর্ভাগ্যের ইঙ্গিত দিচ্ছিল। সাথে বৃষ্টির কারণে ছন্দপতন তো ছিলই। তবে দ্বিতীয়ার্ধ আরও রোমাঞ্চ নিয়ে অপেক্ষা করছিল দুই দলের জন্য।
দ্বিতীয়ার্ধে ৬৬তম মিনিটে হাঙ্গেরির গোলরক্ষক পেতার গুলাসি বল ঘুষি মেরে উড়িয়ে দিতে চাইলেও ব্যর্থ হন। এদিকে বল কপালের টোকায় জালে তো জড়িয়েছেন, নিজেও ঢুকে গিয়েছিলেন কাই হাভার্টজ। তাকে বদলি করে নামানো হয় টিমো ভার্নারকে। নিজের গোলের উদযাপনের রেশ নিয়ে সাইড লাইনে যেতেই সেন্টার থেকে উঠে আসা আন্দ্রাস অ্যাডাম সালাইয়ের কাছ থেকে বল পেয়ে গোলরক্ষকে পাশ কাটিয়ে হেড করে জালে পাঠালে আবার এক মিনিটের মধ্যে চালকের আসনে বসে হাঙ্গেরি।
৮৪ মিনিটের সময় জয়সূচক গোল করেন গুন্ডোগানের বদলি নামা খেলোয়াড় লিওন গোরেটজকা। ভার্নারের শট রক্ষণভাগের খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে তার কাছে পৌঁছালে জোরালো শটে জালে জড়িয়েছেন তিনি। গোলরক্ষক গুলাসির পায়ে লাগলেও গতিময় বলের দিক পরিবর্তন না হওয়ায় ২-২ সমতায় ফেরে জার্মানি।
গ্রুপে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে থেকে শেষ ১৬ নিশ্চিত করেছে জার্মানি। অন্য ম্যাচে ড্র করে গ্রুপের তৃতীয় দল হিসেবে শেষ ১৬ নিশ্চিত করেছে পর্তুগাল। নকআউটে জার্মানির প্রথম প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।