দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথমবার সিরিজ জয়ের হাতছানি বাংলাদেশের সামনে। তাসকিন আহমেদের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় পাঁচ উইকেটের ওপর ভর করে স্বাগতিকদের মাত্র ১৫৪ রানেই আটকে দিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। ফলে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের অলিখিত ফাইনাল ম্যাচে ১৫৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা পেয়েছে তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন টিম বাংলাদেশ।
বুধবার (২৩ মার্চ) সেঞ্চুরিয়নের সুপার স্পোর্টস পার্ক স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিকরা। শুরুটা টি-টোয়েন্টির বেগে করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার জানেমান মালান ও কুইন্টন ডি কক। সপ্তম ওভারেই দলের সংগ্রহ পঞ্চাশের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। সেখানেই মিরাজের ম্যাজিকে প্রথম উইকেটের দেখা পায় টাইগাররা।
সে ওভারে মিরাজের পঞ্চম বলে তুলে মারতে গিয়ে ঠিকঠাক টাইমিং করতে পারেননি ডি কক, লং-অফে সহজ ক্যাচ নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। ৪৬ রানে ডি কক নিজে ১২ রানে বিদায় নিলে প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এরপর বাংলাদেশি বোলাররা ঘুরে দাঁড়ায়। নিজের টানা দুই ওভারে তাসকিন তুলে নেন জোড়া উইকেট। তাদের উইকেট-উৎসবে পরে যোগ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান আর শরিফুল ইসলাম। যার ফলে দলীয় ৮৩ রানেই ৫ উইকেট হারায় তারা।
বাংলাদেশি বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে দিশেহারা হয়ে স্বাগতিকরা এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। তাসকিনের আগুনে ঝরা বোলিংয়ে কাছে পরাস্ত হয়ে কোণঠাসা হয়ে যায় প্রোটিয়াদের ব্যাটিং লাইনআপ। ম্যাচে তাদের ব্যাটিং লাইন আপকে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন টাইগার ডানহাতি এই পেসার। ২০১৪ সালে অভিষেক ভারতের বিপক্ষে ৫ উইকেট পাবার পর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তুলে নিলেন দেশসেরা এই পেসার।
তার ৫ উইকেটের সঙ্গে বাকি বোলারদের দৃঢ়তায় ৩৭ ওভারে মাত্র ১৫৪ রানেই থামে প্রোটিয়াদের ইনিংস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন ওপেনার জানেমান মালান। এছাড়া লোয়ার অর্ডার ব্যাটার কেশব মহারাজ করেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিনের ৫ উইকেটের সঙ্গে সাকিব পেয়েছেন ২ উইকেট। এছাড়া শরিফুল ও মিরাজ নেন একটি করে উইকেট।