হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। টাইগারদের পক্ষে ব্যাট করতে নামে দুই ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও লিটন দাস।
ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি টাইগারদের। রানের (০৭) খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন তামিম। তৃতীয় ওভারে মুজারাবানির প্রথম বলে রেগিস চাকাভার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তামিম। এর মাধ্যমে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ শূন্য রানের অনাকাঙ্খিত রেকর্ড করেন তামিম।
এরপর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। এসেই চার মেরে নিজের ও দলীয় রানের খাতা খোলেন। কিন্তু দলীয় ৩২ রানে স্কয়ার কাট করতে গিয়ে ব্যক্তিগত ১৯ (২৫) রানে আউট হন তিনি। ব্যাটিং পাওয়ার প্লের ১০ ওভার শেষে তাই ২ উইকেটে ৩৮ রান তুলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
লিটন ও মিঠুন মিলে এই চাপ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করলেও অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটকিপার চাকাভাকে তালুবন্দী হন মিঠুন। মিঠুনের দেখানো পথে ১৫ বলে ৫ রান করে অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে চাকাভার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মোসাদ্দেক।
এরপর দেখেশুনে খেলতে থাকা মাহমুদুল্লাহ ও লিটন দাস ৯৩ রানের জুটি গড়েন। লুক জঙ্গুয়ের স্লোয়ার বাউন্সার খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ৩৩(৫২) রান করে আউট হন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
এরপরের গল্পটা লিটন দাসের। একাদশে ফিরেই ১০২ রানের ইনিংস খেলে দলকে খাদের কিনারা থেকে তুলে বড় রানের দিকে নিয়ে যান। ওয়ানডেতে এটি লিটনের চতুর্থ সেঞ্চুরি। ৮টি চারের মাধ্যমে সাজানো এ ইনিংসে মাধভেরের বলে ১ রান নিয়ে শতরান পূরণ করেন এ ওপেনার। ৪২তম ওভারে এনগারাভাকে পুল করতে গিয়ে আউট লিটন।
এরপর আফিফের দুর্দান্ত ৩৫ বলে ৪৫, মিরাজের ২৫ বলে ২৬ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে টাইগাররা সংগ্রহ করে ২৭৬ রান।
চোটের কারণে এ ম্যাচে খেলতে পারেননি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। পারিবারিক কারণে দেশে ফিরে আসায় মুশফিকুর রহিম দলে ছিলেন না।