বাংলাদেশি পেস বোলার মোস্তাফিজুর রহমান দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে এবারের আইপিএলে দারুণ শুরু করেছিলেন। প্রথম ম্যাচে উইকেটের দেখা পেলেও পরের ম্যাচগুলোতে ছিলেন উইকেটশূন্য। তবে বল হাতে ইনিংসের শুরুতে ও ডেথ ওভারে কার্যকরী বোলিংয়ে রান আটকে রেখেছিলেন এই কাটার মাষ্টার।
কিন্তু মোস্তাফিজ আজ রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে নিজের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারলেন না দিনেশ কার্তিকের কারণে। ইনিংসের ১৮তম ওভারে নিজের কোটার শেষ ওভার করতে এসে প্রতি বলেই বাউন্ডারির মার খেয়ে দেন ২৮ রান। চারটি বাউন্ডারির সঙ্গে দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে মোস্তাফিজকে একরকম দুঃস্বপ্নময় রাত উপহার দেন কার্তিক।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আসরের ২৯তম ম্যাচে বেঙ্গালুরু ৯২ রানে পাঁচ উইকেট হারানো বেঙ্গালুরু শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে করেছে ১৮৯ রান। ৪ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন মুস্তাফিজ।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দিল্লির বোলারদের কাছে বেঙ্গালুরুর ব্যাটাররা অসহায় হয়ে পড়েন। দলীয় ১৩ রানের মধ্যে দুই ওপেনার অনুজ রাওয়াত (০) ও ফাফ ডু প্লেসি (৮) সাজঘরে ফেরেন। বেঙ্গালুরুকে আশা দেখাতে ব্যর্থ হন দলের ব্যাটিং স্তম্ভ বিরাট কোহলিও। ১৪ বলে ১২ রান করে উইকেট বিলিয়ে দেন রান আউটের ভুলে।
অস্ট্রেলিয়ান হার্ডহিটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ৩৪ বলে ঝোড়ো ৫৫ রানের পরও ১২তম ওভারের মধ্যে দলীয় ৯২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে অল্পতেই গুটিয়ে যাবার শঙ্কা জাগে বেঙ্গালুরুর ইনিংসে। কিন্তু এদিন দিনেশ কার্তিকের ব্যাটিং তাণ্ডবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮৯ রান দাঁড় করায় বেঙ্গালুরু।
৩৪ বলে ৫টি করে চার-ছক্কায় শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ব্যক্তিগত ৬৬ রান করেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। সঙ্গী শাহবাজ আহমেদকে নিয়ে ৫২ বলে ৯৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে অন্য ব্যাটার শাহবাজ ২১ বলে হার না মানা ৩২ করেন।
দিল্লি বোলারদের মধ্যে শুধু মোস্তাফিজ নন, মার খেয়েছেন কুলদ্বীপ-খলিলও। কুলদ্বীপ ৪ ওভারে দেন ৪৬ রান, খলিলের খরচ ৩৬। দুজনই অবশ্য একটি করে উইকেট পেয়েছেন।