চট্টগ্রামে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে তৃতীয় দিন শেষে চালকের আসনে রয়েছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার করা ৩৯৭ রানের জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে দিন শেষ করেছে ৩ উইকেটে ৩১৮ রান নিয়ে। ফলে এখনও ৭৯ রানে পিছিয়ে আছে টাইগাররা।
বাংলাদেশের ইনিংসে তামিম ইকবাল চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ার আগে ১৩৩ রান করেন। আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় করেন ৫৮ রান। তবে দুই অপরাজিত ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ৫৩ ও লিটন দাস ৫৪ রানে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।
বোলিংয়ে লঙ্কানদের পক্ষে কাসুন রাজিথা দুটি ও আসিথা ফার্নান্দো একটি উইকেট শিকার করেন।
মঙ্গলবার (১৭ মে) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিনা উইকেটে ৭৬ রানে দিন শুরু করে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ৩৫ ও মাহমুদুল হাসান জয় ৩১ রানে তৃতীয় দিনে দলকে আরও এগিয়ে নেন। দিনের দ্বিতীয় ওভারে টানা দুই চার মারেন তামিম। এরপর ৭৩ বলে ব্যক্তিগত ৩২তম অর্ধশতকের দেখা পেয়ে যান তিনি।
অন্যপ্রান্তে সতীর্থ জয় ধীরে সুস্থে ব্যাটিং করে যান। ফলে লাঞ্চ বিরতির আগে ১১০ বলে অর্ধশতক হাঁকান তরুণ ব্যাটার জয়। যা তার ক্যারিয়ারের তৃতীয় পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস। তবে বিরতির পরই জয়কে হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ১৪২ বল মোকাবেলায় ৯টি চার হাঁকানো জয় ৫৮ রান নিয়ে আসিথা ফার্নান্দোর বলে ক্যাচ তুলে দেন নিরোশান ডিকওয়েলার হাতে।
ওপেনিং জুটিতে ১৬২ রান যোগ করে জয়ের বিদায়ের পর সাজঘরের পথ ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত (১) ও অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভ (২)। এই দুই ব্যাটারকে ফেরান কনকাশন সাব হিসেবে একাদশে জায়গা পাওয়া কাসুন রাজিথা। মাত্র ২২ রানের মধ্যে বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়লেও ড্যাশিং ওপেনার তামিম তার ক্যারিয়ারের ১০ম শতক তুলে নেন। ফলে ৩ উইকেটে ২২০ রানে মুশফিককে নিয়ে দ্বিতীয় সেশন শেষ করে বাংলাদেশ।
শেষ সেশনে মুশফিকুর রহিম অবশ্য মাঠে নামেন লিটন দাসকে নিয়ে। পেশিতে টান লাগায় তামিম ইকবাল ছিলেন ফিজিওর তত্ত্বাবধানে, তাই রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে বিশ্রামে থেকে যান এই ওপেনার। তার আগে ২১৭ বলের মোকাবেলায় ১৫টি চার হাঁকিয়ে ১৩৩ রান করেন।
শেষ সেশনে মুশফিক ও লিটন বাংলাদেশকে আগলে রেখেছেন দক্ষ হাতে। দুজনই পূর্ণ করেছেন অর্ধশতক। মুশফিক ১৩৩ বলে ৫৩ ও লিটন ১১৪ বলে ৫৪ রান করে অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শেষ করেছেন। মুশফিক দুটি ও লিটন আটটি চার হাঁকিয়েছেন নিজ নিজ ইনিংসে।