• ঢাকা
  • বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরালেন স্পিনার তাইজুল


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২২, ০৭:২৮ পিএম
বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরালেন স্পিনার তাইজুল
ছবি সংগৃহীত

প্রথম সেশনে বাংলাদেশি বোলারদের বিপক্ষে চড়াও হয়ে ব্যাটিং করছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। যার কারণে সেশনের মাত্র ২৮ ওভারেই তুলে ফেলেছিল ১০৭ রান। বিরতি থেকে ফিরে আবারও ব্যাট হাতে আলোর দ্যুতি ছড়াচ্ছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগার। বাংলাদেশের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ৬৭ ও ৬৪ রানের ইনিংস খেলার পর এবার আউট হলেন ঠিক ৭০ রানে।

প্রোটিয়া অধিনায়ককে সাজঘরে পাঠিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তার করা ৩৩তম ওভারের পঞ্চম বল অফস্ট্যাম্পের বাইরের সোজা চলে যাওয়া ডেলিভারিতে কট বিহাইন্ড হয়েছেন এলগার। এরপর ওয়ানডে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে নিয়ে কেগান পিটারসেন দলের স্কোর আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পরে আবারও তাইজুলের আঘাত। 

শুক্রবার (৮ এপ্রিল) পোর্ট এলিজাবেথের সেন্ট জর্জেস পার্কে দ্বিতীয় সেশনে ইনিংসের ৫১তম ওভারের তৃতীয় বলে তাইজুলের বল কেগানের ব্যাট ফাঁকি দিয়ে আঘাত হানে সামনের প্যাডে। কিন্তু জোরালো আবেদন করলেও আম্পায়ার সাড়া দেননি। পরে টাইগার অধিনায়ক রিভিউ নিয়ে কেগানকে ফেরান ব্যক্তিগত ৬৪ রানে। 

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দ্বিতীয় সেশন শেষে ৫৮ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৯৯রান। প্রোটিয়া ওয়ানডে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ৩৩ আর মিডল অর্ডার ব্যাটার রায়ান রিকেলটন ৭ রানে অপরাজিত থেকে তৃতীয় সেশনের খেলা শুরু করবেন।

এর আগে টস জিতে বাংলাদেশকে বোলিংয়ে পাঠায় স্বাগতিকরা। পেসার খালেদ আহমেদের বোলিংয়ে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই উইকেট পেতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু আম্পায়ারদের আবেদনে সাড়া না পেয়ে খালেদের রিভিউ চাওয়া সত্ত্বেও টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল তাতে সাড়া দেননি। 

পরে রিপ্লেতে দেখা যায়, আউট ছিলেন প্রোটিয়া ওপেনার এরউই। ৪ রানে জীবন পাওয়া ওপেনার এরউই অবশেষে ১২তম ওভারে ফেরেন সেই খালেদ আহমেদের বলেই। বাম দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণ এক ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক লিটন। সাজঘরে ফেরার আগে ৪ চারের মারে ৪০ বলে ২৪ রান করেন তিনি। 

অবশ্য উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর প্রথম সেশনের বাকি সময়ে আর সাফল্য মেলেনি বাংলাদেশের। উল্টো বাংলাদেশি বোলারদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এলগার ও তিন নম্বরে নামা কেগান পিটারসেন। দারুণ সব শটে মাত্র ৬৬ বলে ৬ চারের মারে ফিফটি তুলে নেন এলগার।

ডারবানে সিরিজের প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসেই ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন এলগার। তার ব্যাট থেকে এসেছিল ৬৭ ও ৬৪ রানের ইনিংস। ফিফটির হ্যাটট্রিক করে ৫৯ রানে অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এলগার ও ২৪ রানে ওয়ান ডাউনে নামা কেগান পিটারসেন।

Link copied!