ফুটবল ভালোবাসে কিন্তু ম্যারাডোনাকে ভালোবাসে না- এমন ফুটবলপ্রেমী খুঁজে পাওয়া দায়। ফুটবল শৈল্পিক ছোঁয়া পেয়েছে যাদের পায়ের জাদুতে, ম্যারাডোনা তাদের মধ্যে অন্যতম। এই ফুটবল কিংবদন্তীর আজ ৬১তম জন্মদিন।
ম্যারাডোনা এমন এক নাম যার আগে পরে বিশেষণের দরকার হয় না। আর্জেন্টিনার ফুটবল ইতিহাস তো বটেই- ফুটবলের ইতিহাস নিয়ে কথা বলতেও উচ্চারিত হবে ম্যারাডোনার নাম। পুরো নাম দিয়েগো আর্মান্দো ম্যারাডোনা। ফুটবল বরপুত্রের জন্ম ১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবর।
মাত্র ১৬ বছর বয়সেই পেশাদার ফুটবলে নাম লেখান এই আর্জেন্টাইন তারকা। বিভিন্ন ক্লাবে কিছু বছর কাটিয়ে ১৯৮২ সালে যুক্ত হন স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনায়। তারপর ঘুরেছেন বিভিন্ন ক্লাব। ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলি, স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়া, নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজের পর আবার পুরনো ক্লাব বোকা জুনিয়র্সে ফিরেছেন।
ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনার জাতীয় দলে সফল সময় কাটিয়েছেন। চারটি বিশ্বকাপ ফুটবলে দেশের হয়ে অংশগ্রহণ করেছেন। ১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনার অসামান্য নৈপুণ্যে পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ঘরে তোলে আর্জেন্টিনা। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ও হন এই আর্জেন্টাইন। দেশের হয়ে ৯১ ম্যাচে ৩৪ গোল ম্যারাডোনার। এরপর ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপেও দলকে ফাইনালে তুলেছিলেন তিনি। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি।
ম্যারাডোনা যেন আলোচনায় থাকতেই জন্মেছেন। ফুটবলের মাঠে তো বটেই, মাঠের বাহিরেও নানান সময়ে বিতর্ক হয়েছে এই কিংবদন্তীকে ঘিরে৷ নেশায় আসক্তিসহ বিভিন্ন উদ্ভট কর্মকাণ্ডের জন্য বেশ সমালোচনাও কুড়িয়েছেন এই তারকা।
গত বছর ২৫ নভেম্বর ঘুমের মধ্যেই চিরতরে না ফেরার দেশে চলে যান ম্যারাডোনা। আজন্ম মানুষের ভালোবাসায় ঘিরে থাকা মানুষটি জাগতিক সবকিছুর ঊর্ধ্বে চলে গেছেন। এবারই প্রথম একাকী, নিঃস্ব কোথায় জন্মদিন কাটাচ্ছেন ফুটবল রাজপুত্র! ফুটবল যার পায়ের জাদুতে পেয়েছে প্রাণ, সেই জাদুকরকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। শুভ জন্মদিন ম্যারাডোনা।