বাংলাদেশ দল ভাবতেই পারে, বৃষ্টিটাই ভালো ছিল। টানা বৃষ্টিতে মিরপুর টেস্টের দুই দিন ভেসে গিয়েছিল। কিন্তু চতুর্থ দিন খেলা শুরু হতেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখে পড়ে মুমিনুল হকের দল। ৩০০ রানে ইনিংস ঘোষণা করা পাকিস্তান মঙ্গলবার শেষ বিকেলে বাংলাদেশি ব্যাটারদের রীতিমতো নরক দর্শন করায়। বিশেষ করে সাজিদ খানের ঘূর্ণিতে মিরপুরের পিচ হয়ে ওঠে স্বাগতিক ব্যাটাদের বধ্যভূমি। সেই বধ্যভূমিতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে শতরানের ঘরও স্পর্শ করতে পারেনি বাংলাদেশ। উল্টো ৮৭ রানে অলআউট হয়ে পড়ে ফলোঅনের লজ্জায়।
চতুর্থ দিনেই ৭৬ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। পঞ্চম দিন সকালে বাংলাদেশের বাকি ৩ উইকেট তুলে নিতে ৬ ওভার ব্যয় করেন পাকিস্তানি বোলাররা।
বাংলাদেশের ইনিংসে ক্ষীণ আশা হয়ে জ্বলেছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু দিনের ষষ্ঠ ওভারে শেষ বলে তাকে আজহার আলীর ক্যাচে পরিণত করে বাংলাদেশের ইনিংসের সমাপ্তি টানেন সাজিদ খান। সাকিব করেন ৩৩ রান, যা বাংলাদেশের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে। তিনে নামা এই ব্যাটার সাজিদ খানের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ার আগে করেন ৩০ রান। এই দুইজন ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। বাংলাদেশের ৫ ব্যাটারের রানের ঘরে জ্বলজ্বল করছে ‘শূন্য’।
৪২ রানে ৭ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস একাই ধসিয়ে দেন সাজিদ খান। এ নিয়ে তৃতীয় টেস্ট খেলা সাজিদ খানের এটি ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। এর আগে ১১২ রানে ৪ উইকেট ছিল ২৮ বছর বয়সী এই বোলারের সেরা বোলিং।