পিএসজি তাকে রেকর্ড মূল্য দিয়ে কিনেছিল শুধুমাত্র চ্যাম্পিয়নস লিগের অধরা শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে। কিন্তু ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পাঁচ বছরে নেইমারের পিএসজি শিরোপার কাছাকাছি গেলেও পায়নি কাঙ্ক্ষিত শিরোপার দেখা।
এদিকে বেশ কঠিন সময় কাটছে ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারের। গত বুধবার চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে চলতি মৌসুমে বিদায় ঘন্টা বেজে গেছে কাতারের মালিকানাধীন ক্লাবটির। ফলে প্রেক্ষাপটে ভিন্ন হয়ে গেছে প্যারিসের ক্লাবটির।
এদিকে হারের পর সতীর্থ গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোনারোমার সঙ্গে নেইমার হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন, এমন দাবি করছিল স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কা। তবে নেইমারকে নিয়ে পিএসজির সমস্যাটা এই এক ঘটনায় সীমাবদ্ধ নয়।
ফ্রান্সের স্বনামধন্য সাংবাদিক রোমেইন মলিনা দাবি করেছেন, "তার কাছে তথ্য আছে, সব কিছু মিলিয়েই নেইমারের ওপর বিরক্ত খোদ পিএসজি মালিক নাসের আল খেলাইফি এবং আগামী গ্রীষ্ম মৌসুমেই ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারকে বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত একরকম পাকা করে ফেলেছেন তিনি।
পিএসজিতে আসার পর নেইমারকে নিয়ে ঝামেলা থামছেই না। শুরুতেই ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জন উঠেছিল নেইমারের। পরে একের পর এক ইনজুরি, মাঠের বাইরের বিতর্কের জেরেও থেকে গেছেন তিনি। তবে ২০১৭ সালে রেকর্ড ২২২ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফারে দলে নেয়া নেইমারকে সামনের মৌসুমে নাকি ১০০ মিলিয়ন ইউরোর কম হলেও ছেড়ে দেবে ক্লাবটি।
কারণ হিসেবে এই সাংবাদিক নেইমারের এজেন্ট তার বাবা নেইমার সিনিয়রের সঙ্গে ক্লাবের সম্পর্কের অবনতি, নেইমারের নিজের চোটপ্রবণতা, মাঠের বাইরের জীবনে বেশি মনোযোগীকে দায়ী করেছেন। সব মিলিয়ে পিএসজি মালিকের মনে হচ্ছে, যে অর্থ ক্লাব থেকে নিচ্ছেন, তার যোগ্য প্রতিদান দিতে পারছেন না নেইমার।
এ নিয়ে পঞ্চমবারের মত নেইমারের মতো বড় তারকা নিয়েও চ্যাম্পিয়নস লিগে ব্যর্থ হল পিএসজি। শেষ এক বছরে নেইমারের ওপর সন্তুষ্ট নয় পিএসজি। ফলে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চুক্তি থাকলেও আসছে গ্রীষ্মে নেইমারকে ছাটাই করতে চাইছে খেলাইফি। আর সে গুঞ্জন যদি সত্যিই হয়, তবে নেইমারের নতুন ঠিকানা কোথায় হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।