নতুন অধিনায়কের অধীনে সিরিজের শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল স্বাগতিক ইংল্যান্ড। এবার এজবাস্টনে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে পরাজিত করেছে বেন স্টোকসের নেতৃত্বাধীন দল। ফলে কিউয়িদের ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবালো ইংলিশরা।
নিউজিল্যান্ডের দেয়া ২৯৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৫১ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে গেলেছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু ওলি পোপ, জো রুটের সেঞ্চুরি ছুঁইছুঁই দুই ইনিংস, আর যথারীতি জনি বেয়ারস্টোর ঝোড়ো এক ইনিংসে দাপটের সঙ্গে সিরিজ শেষ করল ইংল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ডের দেয়া ২৯৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ দিনেই ম্যাচটা প্রায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিল ইংলিশরা। ওলি পোপ আর জো রুটের হাফসেঞ্চুরিতে ২ উইকেটে তুলেছিল ১৮৩ রান। তবে পঞ্চম দিনের শুরুতেই পোপের উইকেট হারিয়ে বসে ইংল্যান্ড। ১২ বাউন্ডারিতে ৮২ রান করে সাউদির বলে বোল্ড হন ওলি পোপ।
তবে ওই উইকেট ফেলে যেন আরও বিপদ বেড়েছে নিউজিল্যান্ডের। ক্রিজে আসেন জনি বেয়ারস্টো। আর এসেই শুরু করেন তার দানবীয় ব্যাটিং। জো রুটকে সঙ্গে নিয়ে ৮৭ বলেই ১১১ রানের জুটি গড়েন বেয়ারস্টো। ফলে ম্যাচটা বের করে নিতে একদমই কষ্ট হয়নি ইংলিশদের। ১২৫ বলে ১১ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৮৬ রানে অপরাজিত থাকেন রুট।
বেয়ারস্টো ৪৪ বলে তার ৭১ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ৮টি চারের সঙ্গে হাঁকান ৩টি ছক্কা। এই টেস্টেরই প্রথম ইনিংসে ১৫৭ বলে ১৬২ করেছিলেন বেয়ারস্টো। তার আগের টেস্টে খেলেছিলেন ৯২ বলে ১৩৬ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ৩২৯/১০ (ড্যারেল মিচেল ১০৯, টম ব্লান্ডেল ৫৫; জ্যাক লিচ ৫/১০০)
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ৩৬০/১০ (জনি বেয়ারস্টো ১৬২, জেমি ওভারটন ৯৭; ট্রেন্ট বোল্ট ৪/১০৪)
নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস: ৩২৬/১০ (টম ব্লান্ডেল ৮৮*, টম লাথাম ৭৬; জ্যাক লিচ ৫/৬৬)
ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস: ২৯৬/৩ (জো রুট ৮৬*, ওলি পোপ ৮২, জনি বেয়ারস্টো ৭১*; টিম সাউদি ১/৬৮)
ফল: ইংল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: তিন টেস্টের সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জয়ী ইংল্যান্ড।