মাঠের খেলায় যতটা না আলোচনায় থাকেন তার চেয়ে মাঠের বাইরের কার্যকলাপেই বেশি আলোচনায় থাকেন আর্জেন্টাইন তারকা মাউরো ইকার্দি। তাকে নিয়ে তার বন্ধুরা মনে হয় সবসময় একটু ভয়েই থাকেন। কারণ, বন্ধুর বউ ভাগানোতে যে তিনি পটু। বন্ধুর বউ নারাকে ভাগিয়ে বিয়ে করলেও কিছুদিন আগে সে সংসারে ছিল ভাঙনের সুর। কিন্তু নারার সঙ্গে নাকি আবারও বরফ গলতে শুরু করেছে। লস এঞ্জেল দি মানানার বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম মার্কা এমনটাই জানিয়েছে।
কিছুদিন আগে ইকার্দির বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ আনেন তার স্ত্রী নারা। তখন শুধু অভিযোগ এনেই বসে থাকেননি নারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামেও আনফলো করেছিলেন ইকার্দিকে। তাছাড়া দুইজনের একান্ত যত ছবি ছিল ইনস্টাগ্রামে তার সবগুলোই সরিয়ে ফেলেছিলেন নারা।
সেসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এক স্টোরিতে লিখেছিলেন, ‘একটা বাজে মেয়ের জন্য আরেকটা পরিবার নষ্ট করলি তুই!’
এতকিছু ঘটে গেলেও এখন সবকিছুই অতীত। সামনে লিপজিগের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। এর আগে দুইদিন ট্রেনিংয়ে আসছিলেন না ইকার্দি। ফলে লিগ ওয়ানে মার্শেইয়ের বিপক্ষে খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা।
এদিকে এঞ্জেল দি মানানার বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, ইকার্দি আর নারা নাকি আলোচনা শুরু করেছেন।
এ বিষয়ে ইয়ানিনা লাটোরে নামে একজন বলেন, "ইকার্দিকে আজ ট্রেনিং সেন্টারে নিয়ে এসেছিলেন নারা। ইকার্দিকে নাকি কিছু শর্ত দিয়েছে নারা, যেগুলো মানলেই নাকি ইকার্দির কাছে ফিরবেন তিনি।"
লাটোরে আরও বলেন, নারা দুইজনের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে চান। কিন্তু তা করার আগে দুইজনের যৌথ ও পারিবারিক একটি ছবি পোস্ট করতে হবে। এছাড়া ইকার্দিকে নাকি তার চির বিশ্বস্ততার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।"
এছাড়া নারা কোনো ইভেন্টে প্রভাবক হিসাবে কাজ করতে চান না। আর ইকার্দি চান না যে নারা যেন ব্যক্তিগত বিমানে একা ভ্রমণ না করে।
ওয়ান্ডা নারা শুধুমাত্র ইকার্দির স্ত্রী না আর একজন এজেন্টও বটে।