টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২১ রানের পুঁজি পায় অস্ট্রেলিয়া। সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার ম্যাচে জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য ১২২। অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন মিচেল মার্শ। টাইগারদের হয়ে ৩ উইকেট নিয়ে মোস্তাফিজ।
স্বাগতিক বাংলাদেশ ও সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় অজি অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। অবশ্য সিরিজের প্রথম ম্যাচেও টসে জিতেছিলো সফরকারীরা।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে টাইগারদের কাছে ২৩ রানে হারলেও এ ম্যাচে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামে অজিরা। সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য অবশ্য অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও আগের ম্যাচের একাদশ নিয়েই মাঠে নামেন।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ব্যাটিংয়ে উদ্ভোধন করতে নামেন জশ ফিলিপে ও অ্যালেক্স ক্যারি। গত ম্যাচের মত আজকেও বোলিং আক্রমণে আসেন মেহেদী হাসান। দুর্দান্ত বল করে প্রথম ওভার শেষ করেন মাত্র ১ রান দিয়ে তিনি। এরপরে আগের ম্যাচে চার উইকেট পাওয়া নাসুম আহমেদ আসেন আক্রমণে। নিজের প্রথম ওভারটা অবশ্য শুভকর হয়নি নাসুমের। ১০ রান দিয়ে ওভার শেষ করেন তিনি।
বাংলাদেশের প্রথম সাফল্য আসে ইনিংসের তৃতীয় ও মেহেদীর দ্বিতীয় ওভারে। আগেরদিনের মত আজকেও মেহেদীর শিকার অ্যালেক্স ক্যারি। মেহেদীর বলে তুলে মারতে গিয়ে মিড-অনে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডার নাসুমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১১ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন ক্যারি।
টাইগার বোলার মোস্তাফিজের শিকার আরেক ওপেনার ফিলিপে। লেগস্টাম্পের বাইরের স্লোয়ার বল বুঝতেই পারেননি তিনি। ফলে ১৪ বলে ১০ রান করে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় তাকে। পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে ম্যাথু ওয়েডের দলে স্কোরবোর্ডে তুলে ৩২ রান।
এরপর আগের ম্যাচের সর্বোচ্চ রানকারী ব্যাটসম্যান মিচেল মার্শ ও ময়েসেস হেনরিকস দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। ধীর গতির ব্যাটিংয়ে প্রথম দশ ওভার শেষে অজিরা তুলে দুই উইকেট হারিয়ে ৫৩ রান।
মার্শ ও হেনরিকসের ৫২ বলে ৫৭ রানের জুটি চোখ রাঙ্গাচ্ছিলো বাংলাদেশকে। তখনই দেশের জন্য ত্রাতা হয়ে এলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সাকিবের বলে সুইপ করতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হন হেনরিকস। তার ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ৩০ রান।
তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম তুলে অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ রান করা মিচেল মার্শ। প্রথম টি-টোয়েন্টির মত আজও মার্শ আউট ৪৫ রান করে। উইকেট কিপার নুরুল হাসান সোহানের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি।
এরপরে আক্রমণে এসে পর পর দুই বলে ফিরিয়ে দেন দুই অজি ব্যাটসম্যানকে। কাটার মাস্টারের বলে আউট হওয়ার আগে ৭ বলে ৪ রান করেন অজি অধিনায়ক। এরপরের বলেই অ্যাস্টন এ্যাগারকে ফিরিয়ে দেন মোস্তাফিজ।
১৯তম ওভারের টার্নারকে সাজঘরে পাঠান শরীফুল। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১২১ রান তুলে অজিরা।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। দুই উইকেট নিয়েছেন শরীফুল ইসলাম। এছাড়া সাকিব ও মেহেদীর ঝুলিতে রয়েছে একটি করে উইকেট।