ঘরের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে মাত্র ১২ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছিলেন লিটন দাস। তবে ঢাকা টেস্টে উইকেটকিপার ব্যাটার লিটন সেই আক্ষেপ পুষিয়ে দিয়েছেন ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসে ফিফটি তুলে। দলের ভরাডুবির মধ্যেও এমন পারফরম্যান্সের সুবাদে র্যাঙ্কিংয়েও উন্নতি হয়েছে লিটনের।
ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি) প্রকাশিত সবশেষ র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৭২৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ১২তম স্থানে উঠে এসেছেন লিটন। চট্টগ্রাম টেস্টের পর র্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ উন্নতি হয়েছিল লিটনের। আর ঢাকা টেস্ট শেষে দেশের হয়ে ইতিহাস গড়লেন।
এর আগে ২০১৭ সালে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৭০৯ রেটিং পয়েন্ট অর্জন করেছিলেন ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। টাইগার উদ্বোধনী এই ব্যাটার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে ব্যাট হাতে ছিলেন নিষ্প্রভ। ফলে দুই ইনিংসেই সাজঘরে ফিরে গেছেন শূন্য রানে। যার ফলে টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে ৫৭৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ৫ ধাপ পিছিয়ে ৩২ নম্বরে নেমে এসেছেন তামিম।
বাঁহাতি এই ওপেনার পিছিয়ে গেলেও ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি তুলে নেয়া মুশফিক এগিয়েছেন সাত ধাপ। ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ১৭৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মুশফিক। দ্বিতীয় ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ২৩ রান। তাতে সেরা বিশে উঠে এসেছেন তিনি। ৬৭৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে মুশফিকের অবস্থান আঠারোতে।
এদিকে টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক লম্বা সময় ধরে রানখরায় ভুগছেন। ঢাকা টেস্টের দুই ইনিংসে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৯ রান। তাতে ৪৮১ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে সাত ধাপ পিছিয়ে মুমিনুলের অবস্থান ৬৪ তে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে দারুণ ব্যাটিংয়ে সিরিজ সেরা হয়েছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। চট্টগ্রামের পর ঢাকা টেস্টেও সেঞ্চুরি পেয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। দলের প্রয়োজনের খেলেছিলেন অপরাজিত ১৪৫ রানের ইনিংস। তাতে পাঁচ ধাপ এগিয়ে ১৬ তম স্থানে উঠে এসেছেন ম্যাথিউস। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের রেটিং পয়েন্ট ৬৭৯।