ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলতি বছরের আসরে টস জিতে বোলিং যেন ট্রেন্ড হয়ে গেছে। আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে শনিবার চেন্নাইয়ের বিপক্ষে কলকাতার রান তাড়া করে জয়ের পর আজ দিনের প্রথম ম্যাচে টানটান উত্তেজনা ছড়িয়ে শেষ পর্যন্ত মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। এবার তাদেরই দেখানো পথে হেঁটে সফল হলো পঞ্জাব কিংসও। রয়েল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরুর দেয়া ২০৬ রানের লক্ষ্য ১ ওভার বাকি থাকতেই উতরে যায় মায়াঙ্ক আগারওয়ালের নেতৃত্বাধীন টিম পঞ্জাব।
রোববার (২৭ মার্চ) মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় পঞ্জাব। প্রতিপক্ষ রয়েল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরু প্রথমে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে অর্ধশতক রানের জুটি গড়েন নতুন অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি ও তরুণ ব্যাটার অনুজ রাওয়াতের কল্যাণে।
সপ্তম ওভারের শেষ বলে রাওয়াত ২০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২১ রান করে বিদায় নেন। তাকে সাজঘরের পথ দেখান রাহুল চাহার। এরপর বিরাট কোহলিকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্জাবের বোলারদের বিপক্ষে দাপুটে ব্যাটিং করেন ডু প্লেসি। ৫৭ বলে ৩ চার ও ৭ ছক্কায় ৮৮ রান করেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই অধিনায়ক। দুজনে ৬১ বলে ১১৮ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান।
আর্শদ্বীপের বলে ডু প্লেসির বিদায়ের পর দীনেশ কার্তিক ক্রিজে এসে রীতিমত ঝড় তোলেন। ১৪ বলে সমান ৩ চার-ছক্কায় ৩২ রান করেন উইকেটকিপার এই ব্যাটার। এছাড়া কোহলি করেন ২৯ বলে অপরাজিত ৪১ রান। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রানের সংগ্রহ পায় আরসিবি।
পঞ্জাবের পক্ষে বোলিংয়ে আর্শদ্বীপ ও রাহুল চাহার একটি করে উইকেট পান।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল পঞ্জাব। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৬৩ রান তুলে ফেলেছিল আগারওয়াল ও ধাওয়ান জুটি। তবে অষ্টম ওভারের প্রথম বলে লেগ স্পিনার হাসারাঙ্গার বলে শাহবাজ আহমেদের হাতে ক্যাচ দিলে ভাঙে তাদের ৭১ রানের জুটি। পঞ্জাব অধিনায়ক ২৪ বলে সমান ২ চার-ছক্কায় ৩২ রান করেন।
এরপর শিখর ধাওয়ানের ২৯ বলে ৪৩, ভানুকা রাজাপাকসে ২২ বলে ৪৩ রান ও লিয়াম লিভিংস্টোন ১০ বলে ১৯ রান করলেও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপেই পড়ে যায় পঞ্জাব কিংস।
শেষ ৫ ওভারে পঞ্জাবের প্রয়োজন ছিল ৫০ রান। উইকেটে ব্যাটিং করছিলেন ক্যারিবীয় বোলিং অলরাউন্ডার ওডেন স্মিথ এবং ভারতীয় ব্যাটার শাহরুখ খান। এই দুই ব্যাটার শেষ দিকে ঝড় তুলে দলকে ৬ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের জয় এনে দেন। ২০ বলে ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন শাহরুখ। আর ৮ বলে ৩ ছক্কা ও ১ চারে ২৫ রান করেন স্মিথ।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান পঞ্জাবকে জয় এনে দেয়া ওডেন স্মিথ।