• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ওয়ার্নের রুমে অনেক রক্ত দেখেছেন থাই পুলিশ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২২, ০৩:৫৬ পিএম
ওয়ার্নের রুমে অনেক রক্ত দেখেছেন থাই পুলিশ
ছবি সংগৃহীত

গত শুক্রবার (৪ মার্চ) না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্ন। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ক্রিকেট অঙ্গনে। ৫২ বছর বয়সে এই কিংবদন্তির অকাল মৃত্যু অনেকে মেনে নিতে পারছেন না। ওয়ার্নের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুরতথানি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, যেখানে তার পরিবার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অস্ট্রেলিয়ায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়।

এদিকে থাইল্যান্ডের পুলিশ জানিয়েছে, ওয়ার্নের ঘরে অনেক রক্ত দেখা গেছে। তবে সেটি মরদেহের কফের সঙ্গে বের হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।
 
এর আগে থাইল্যান্ডের কো সামুই দ্বীপের একটি প্রাইভেট ভিলায় তিন বন্ধুকে নিয়ে থাকছিলেন ওয়ার্ন। খাবারের সময় উপস্থিত না হওয়ায় তার ঘরে গিয়ে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় এই কিংবদন্তিতে। তখন প্রায় ২০ মিনিট ধরে মুখে মুখ লাগিয়ে সিপিআর দেওয়ার পরেও কোনো কাজ হয়নি। এরপর অ্যাম্বুলেন্সে করে ওয়ার্নকে নিয়ে যাওয়া হয় থাই ইন্টারন্যাশনাল হসপিটালে।

থাই পুলিশের প্রাদেশিক কমান্ডার সাতিত পলপিনিত ধারণা করছেন, সিপিআর দেওয়ার সময়েই ওয়ার্নের মুখ দিয়ে কফের সঙ্গে রক্ত বেরিয়ে থাকতে পারে। থাই গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার স্কাই নিউজ এই খবর জানিয়েছে।

পলপিনিত বলেছেন, ‘(ওয়ার্নের শোবার) ঘরে অনেক রক্ত দেখা গেছে। যখন সিপিআর দেওয়া শুরু হয়েছিল, তখন ভেজা কাশির সঙ্গে রক্ত পড়া শুরু হয়।’

বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কার্পেট, তিনটি তোয়ালে এবং একটি বালিশে রক্তের দাগ দেখা গেছে। ওয়ার্ন তার জীবন বাঁচানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

এছাড়া থাইল্যান্ডের বো ফুট পুলিশ স্টেশনের সুপেরিটেন্ডেন্ট জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ায় থাকতেই বুকে ব্যথা ছিল ওয়ার্নের। যে কারণে হার্টের চিকিৎসকও দেখিয়েছিলেন এ স্পিন জাদুকর।

সংবাদমাধ্যমে থাই পুলিশের সুপেরিটেন্ডেন্ট ইয়ুত্তানা সিরিসোম্বাত বলেছেন, ‘তার (ওয়ার্ন) আগে থেকেই হাঁপানি রোগ ছিল এবং হার্টের চিকিৎসকও দেখিয়েছিল। পরিবারের কাছ থেকে জেনেছি, অস্ট্রেলিয়া থাকতেই বুকে ব্যথাও অনুভব করেছিলেন ওয়ার্ন।’


 

খেলা বিভাগের আরো খবর

Link copied!