দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছানোর আগে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল এবং কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। সেঞ্চুরিয়নে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলনও তারা দেখিয়েছেন। তবে জোহানেসবার্গে দ্বিতীয় ম্যাচে প্রোটিয়ারা দারুণভাবে কামব্যাক করে।
বুধবার (২৩ মার্চ) সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচে আবার সেঞ্চুরিয়নে মাঠে নামবে দুদল। দক্ষিণ আফ্রিকা ২০২১ সালের শুরু থেকে ১৫টি ওয়ানডে ম্যাচে ৭টি ম্যাচ জিতেছে এবং ৬ ম্যাচ হেরেছে। দুটি ম্যাচ ফলাফল শূন্য। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা বেশ কঠিন প্রতিপক্ষ। তাদের হারানো সহজ নয়, আবার অসম্ভবও নয়। যা প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ব্যাটে-বলে দেখিয়েছে।
কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিদির বোলিং তোপের সামনে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে ঝলক দেখাতে হবে। পুরো টিমকে একসাথে ভালো পারফর্ম করতে হবে। প্রথম ম্যাচে টেল এন্ডাররাও ব্যাটারের ভূমিকায় ছিলেন। আত্মবিশ্বাসী শট খেলে দলকে ভালো সংগ্রহে পৌঁছে দিয়েছেন। ইয়াসির আলী, আফিফ হোসেনের রান কেবল চার সিনিয়র ব্যাটারের ওপর চাপ কমিয়ে দেয়নি, বাংলাদেশকে একটি ভালো সংগ্রহ উপহার দিয়ে লড়াই করার আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। তামিম ইকবাল এবং সাকিব আল হাসান টপ অর্ডারে ভালো রান করতে পারলে এবং মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মিডল অর্ডারে রান পেলে দলের ভালো ফল আসা সম্ভব।
বাংলাদেশের বোলাররাও দারুণ খেলছেন। তাসকিন আহমেদ তার গতিতে আক্রমণে নেতৃত্ব দেবেন। মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম তাদের সামর্থ্য দেখাতে পারলে প্রোটিয়াদের অল্প রানে আটকে ফেলা সম্ভব। মেহেদি হাসান মিরাজ একজন অলরাউন্ডার হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছেন, সাকিব বোলিং বিভাগের ভরসা। মোদ্দা কথা, ব্যাটে-বলে দলের সবার অবদানেই কেবল প্রোটিয়া বধ করে ইতিহাস রচনা সম্ভব।
বাংলাদেশ একাদশ (সম্ভাব্য) : তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), ইয়াসির আলী, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ (সম্ভাব্য) : কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), জানেমান মালান, টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), কাইল ভেরেইন, রাসি ভ্যান ডার ডুসেন, ডেভিড মিলার, কেশব মহারাজ, মার্কো জানসেন, কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডি ও তাবরেজ শামসি।