• ঢাকা
  • বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

এক ম্যাচ হাতে রেখেই টাইগারদের সিরিজ জয়


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২, ০৭:২২ পিএম
এক ম্যাচ হাতে রেখেই টাইগারদের সিরিজ জয়
ছবি সংগৃহীত

ব্যাট হাতে ওপেনার লিটন দাসের অনবদ্য সেঞ্চুরি ও মুশফিকের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের পর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সফরকারী আফগানিস্তানকে ৮৮ রানে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিল বাংলাদেশ। 

শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাসের ১৩৬ ও মুশফিকের ৮৭ রানের ওপর ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩০৬ রানে বিশাল সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা। 

৩০৭ রানের বিশাল লক্ষ্য টপকাতে নেমে রহমত শাহ ও নাজিবুল্লাহ জাদরানের অর্ধশতকের পরও বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২১৮ রানে অলআউট হয় আফগানরা। এতে ৮৮ রানের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত হয় তামিম ইকবালদের।

এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক তামিম। ব্যাট করতে নেমে রানের খাতা সচল রাখেন দুই ওপেনার তামিম ও লিটন। তবে আগের ম্যাচের সেই ফজলে হক ফারুকীর ইনসুইংয়ে আবারও পরাস্ত হয়েছেন তামিম। ফজলের ভেতরে ঢুকা বলে এলবিডব্লিউ হয়ে আউট হয়ে যান তিনি। রিভিউ নিয়েও ফেরার আগে ২৪ বলে ১২ রান করেছেন তিনি। 

পরে লিটনের সঙ্গে কিছুক্ষণের জন্য জুটি বাধেন সাকিব আল হাসান। তাদের ৪৫ রানের জুটি ভাঙে সাকিব আল হাসান রশিদ খানের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়লে। ৩৬ বল খেলে ২০ রান করেন এই অলরাউন্ডার। 

এরপর ক্রিজে আসেন উইকেটকিপার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। লিটনকে সঙ্গে নিয়ে শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন। তাদের দুজনের ২০২ রানের জুটি দলকে তিনশ রানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ১০৭ বলে লিটন তার ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি।

শেষ পর্যন্ত ১২৬ বলে ১৩৬ রানে থামে লিটনের ইনিংস। যেখানে তিনি ১৬টি চারের সঙ্গে হাঁকিয়েছেন ২টি বিশাল ছক্কার মার। 

লিটনের সঙ্গী মুশফিকুর রহিমও দলের সংগ্রহে বড় অবদান রাখেন। ক্যারিয়ারের ৪১তম অর্ধশতক তুলে করেন ৯৩ বলে ৮৬ রান। ইনিংসটিতে ছিল ৯ টি চারের মার। এদিন  ওয়ানডেতে সাকিবের (৬৬৩০) সরিয়ে বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক বনে যান মুশফিক (৬৬৭০)। 

পরপর দুই বলেই এই জুটিকে আউট করেন বাঁহাতি পেসার ফরিদ আহমেদ। এরপর মাহমুদউল্লাহ ও আফিফের ধীর গতির ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান করেছে বাংলাদেশ। 

আফগানিস্তানের পক্ষে ফরিদ আহমেদ ২টি এবং ফজলে হক ফারুকী ও রশিদ খান নেন ১ টি করে উইকেট।

রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় সফরকারীরা। এরপর ওপেনার রহমত শাহ আর আগের ম্যাচের অর্ধশতক করা নাজিবউল্লাহ জাদরান মিলে বাংলাদেশকে কেবল হতাশাই উপহার দিচ্ছিলেন। 
 
অবশেষে তাদের ৯১ রানের জুটি ভাঙ্গে রহমতকে ফিরিয়ে। ইনিংসের পঁচিশতম ওভারে তাসকিনের আগুনে ঝরা বোলিংয়ে কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই বিদায় নেন এই ব্যাটার। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৭১ বলে ৫২ রান। 

এরপর ইনিংসের ২৯তম ওভারে আবারও বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়েছে পেসার তাসকিন। প্রথম বলে উইকেটের পিছনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান নাজিবুল্লাহ জাদরান। এই ব্যাটার করেন ৬১ বলে ৫৪ রান। 

এরপর মোহাম্মদ নবীর ৩২ ও রশিদ খানে ২৯ রানে হারের ব্যবধানই শুধু কমিয়েছে আফগানরা। শেষ পর্যন্ত ৪৫ ওভার ১ বলে ২১৮ রানেই থামে হাসমতউল্লাহ শাহেদীর দল। ফলে ৮৮ রানের বিশাল এক জয়ের সাথে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিল বাংলাদেশ। 

বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব-তাসকিন ২ টি করে উইকেট পান। এছাড়া মোস্তাফিজ, শরিফুল, মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ হোসেন পান একটি করে উইকেট। ম্যাচ সেরা হয়েছেন ১৩৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলা লিটন দাস। 

সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে একই ভেন্যুতে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি মাঠে নামবে দুই দল। 

Link copied!