জয় দিয়ে সিরিজ শুরু, এর থেকে ভালো আর কী হতে পারে?
বাংলাদেশের দেওয়া ১৩২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সব উইকেট হারিয়ে ১০৮ রান করে অজিরা। বাংলাদেশ পেয়েছে ২৩ রানের জয়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টাইগারদের প্রথম জয় এটি।
স্বপ্নের মতো শুরুটা পেয়েছিল টিম টাইগার। ইনিংসের তিন ওভারের মধ্যেই অজিদের তিন উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশের তিন স্পিনার।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ব্যাটিংয়ে উদ্বোধন করতে নামেন দুই ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স ক্যারি ও জশ ফেলিপে। শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি অজিদের। ইনিংসের প্রথম বলেই গোল্ডেন ডাক মেরে আউট হন অ্যালেক্স ক্যারি। মেহেদী হাসানের বলে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন ক্যারি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার কোনো ব্যাটসম্যান ইনিংসের প্রথম বলে আউট হলেন।
নাসুম আহমেদের বল ডাউন দ্য ট্র্যাকে এসে খেলতে গিয়েছিলেন ফেলিপে। বলের ফ্লাইট মিস করে স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়েছেন তিনি। ১০ রানের মাঝে দুই উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল অস্ট্রেলিয়া।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সাকিব বল হাতে নিয়েই তুলে নেন হেনরিকসের উইকেট। ১১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে আরও চাপে পড়ে অজিরা। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে অজিরা সংগ্রহ করে ২৮ রান।
এরপর দলের অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড ও মিচেল মার্শ মিলিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। ওয়েড ও মার্শের ৩৮ রানের জুটি যখন চোখ রাঙাচ্ছিল বাংলাদেশকে, তখনই ত্রাতা হয়ে এলেন নাসুম আহমেদ। নাসুমের লেগ স্টাম্পের বাইরের ওয়াইড বল খেলতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে মোস্তাফিজের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড।
অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করে আউট হন মিচেল মার্শ। মার্শকে আউট করে দলের জয়ের পথ সুগম করেন স্পিনার নাসুম আহমেদ।
মিচেল স্টার্ক প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলেও পারেননি। কাটার মাস্টার মোস্তাফিজের বলে আউট হন টার্নার। শেষের দিকের ব্যাটসম্যানদের আউট করে জয়ের পথ সহজ করেন পেসার শরীফুল ইসলাম।
বাংলাদেশের হয়ে নাসুম আহমেদ নিয়েছেন ৪ উইকেট। এ ছাড়া শরীফুল ও মোস্তাফিজ দুই, সাকিব ও মেহেদী নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩১ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। টাইগারদের হয়ে দলীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন সাকিব আল হাসান। এ ছাড়া মোহাম্মদ নাঈম ৩০, আফিফ ২৩ ও মাহমুদউল্লাহ করেন ২০ রান। অজিদের হয়ে হ্যাজলউড তিন, মিচেল স্টার্ক দুই উইকেট নিয়েছেন।