গত সেপ্টেম্বর থেকে ভারতের মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বিরল এক রক্তের ব্যাধিতে আক্রান্ত ১১ বছরের স্কুল পড়ুয়া তরুণ ভারাদ নালাওয়াদ। এই দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ছিল ৩৯ লাখ টাকা।
কিন্তু নালাওয়াদের ইন্স্যুরেন্স অ্যাজেন্ট বাবা শচীন নালাওয়েড ও গৃহিনী মা স্বপ্না জার পক্ষে এই টাকা জোগাড় অসম্ভব ছিল। তাই তারা গত ডিসেম্বরে সাহায্যের আবেদন করেন অনুদানের প্ল্যাটফর্ম গিভ ইন্ডিয়াতে।
তরুণ ভারাদ নালাওয়াদের জন্য সাহায্যের আবেদন চোখে পড়ে ভারতের জাতীয় দলের সহ-অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের। ভারাদের পরিবারকে ৩৫ লাখ টাকা দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তিনি। যে টাকায় তার বোন মেরু ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়। এখন অনেকটাই সুস্থ হয়েছেন ভারাদ।
গত সেপ্টেম্বর থেকে মুম্বাইয়ের জাশলক হাসপাতালে এক হেমাটোলজিস্টের অধীনে সেখানে চিকিৎসা চলছিল তার। সেখানেই পরীক্ষায় তার রক্তের সেলগুলো নতুন রক্ত সঞ্চারণ করতে পারছে না বলে জানা যায়। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায় তার। এমনকি সাধারণ জ্বর ঠিক হতেও সময় লাগতো এক মাস।
চিকিৎসা করাতে গিয়ে এক পর্যায়ে সব টাকা শেষ হয়ে যায় মধ্যবিত্ত পরিবারটির। ছেলের ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে সারাজীবনের সব সঞ্চয় শেষ করে দেন বাবা। তাতেও বাঁচানো যাচ্ছিল না শিশুটিকে। ছেলের ১১তম জন্মদিনেও বাবা ছেলেকে কিনে দেন ক্রিকেট ব্যাট। তবুও স্বপ্নগুলো শেষ হতে বসেছিল ভারাদের। তখনই এগিয়ে আসেন রাহুল।
সাহায্যের হাত বাড়িয়ে রাহুল বলেন, ‘আমি যখন ভারাদের অবস্থাটা জানলাম, আমার সহযোগিরা গিভ ইন্ডিয়া তাদের দিকে খেয়াল রাখছিল আর দেখছিল কোনোভাবে তাদের সাহায্য করা যায় কি না। আমি আনন্দিত তার অপারেশন ঠিকঠাক হয়েছে এবং সে সুস্থ আছে।’
এই ক্রিকেটার আরও বলেন, ‘আমি আশা করি ভারাদ নিজের অবস্থায় ফিরে যাবে ও নিজের স্বপ্নপূরণের লড়াইয়ে নামবে আবার। আশা করি আমার সাহায্য আরও অনেক অনেক মানুষকে উদ্বুদ্ধ করবে তাদের সাহায্য করতে, যাদের দরকার।’
