টেস্ট ক্রিকেটে ধারাবাহিকতার অভাবে অটো চয়েস নন তিনি। নিয়মিত পেসার ট্রেন্ট বোল্টের ইনজুরিতে সুযোগ মিলল দলে। আর সেই সুযোগটাই দুই হাতে লুফে নিলেন নিউজিল্যান্ডের পেসার ম্যাট হেনরি। কিউই এই পেসারের আগুনে বোলিংয়ে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৯৫ রানে অলআউট করেছে নিউজিল্যান্ড। টেস্টে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ১৯৩২ সালের পর এবারই প্রথম একশ র নিচে অলআউট প্রোটিয়ারা।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে হেনরির বোলিংয়ে যেন ব্যাটিং করা ভুলে গিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। দলটির মাত্র চার ব্যাটার ছুঁতে পেরেছেন দুই অঙ্ক। তারা হলেন যুবাইর হামজা (২৫), কাইল ভেরিনি (১৮), এইডেন মার্করাম (১৫) ও সারেল এরয়ে (১০)।
এরপর ব্যাটিং করতে নেমে তিন উইকেটে ১১৬ রান করেছে স্বাগতিকরা।
হেনরির দাপটে এদিন যেন ব্যাটিংই ভুলে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দলটির মাত্র চার ব্যাটার ছুঁতে পেরেছেন দুই অঙ্ক। তারা হলেন জুবাইর হামজা (২৫), কাইল ভেরিনি (১৮), এইডেন মার্করাম (১৫) ও সারেল এরয়ে (১০)।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই বোলিংয়ে এসে প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগারকে সাজঘরে ফেরান হেনরি। এরপর যেন প্রোটিয়া ব্যাটারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করে দলীয় ৫২ রানের মধ্যেই ৫ উইকেট তুলে নেয় কিউই বোলাররা।
এরপর যুবাইর হামজা ও কাইল ভেরিনি দলের বিপদে হাল ধরেন। তাদের ৪৩ রানের জুটি দলের স্কোর সম্মানজনক স্থানের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু পালে আবারও হানা দেন ওই হেনরিই। তার আগুনে বোলিংয়ে মাত্র ৯৫ রানেই অলআউট হয়ে যায় প্রোটিয়ারা।
হেনরির বোলিং ফিগার ছিল এরকম, ১৫ ওভারে সাতটি মেডেন দিয়ে মাত্র ২৩ রান খরচায় সাতটি উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন টিম সাউদি, কাইল জেমিসন ও নেইল ওয়াগনার।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি কিউইদেরও। দলীয় ৩৬ রানের মধ্যে উইল ইয়ং ও লাথামের উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ইয়ংকে আট রানে মার্কো জানসেন ও লাথামকে ১৫ রানে ডুয়ান অলিভিয়ের বিদায় করেন।
তারপর ৭৫ রানের জুটি গড়েন ডেভন কনওয়ে ও হেনরি নিকোলস। দিনের শেষ ভাগে এসে বিদায় নেন কনওয়ে। ৩৬ রান করে অলিভিয়েরের বলে বোল্ড হন তিনি। নিকোলস ৩৭ ও নাইটওয়াচম্যান ওয়াগনার ২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করবেন।