বিশ্বকাপে পাওয়া জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল পাকিস্তান। ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে যদিও একটা সময় মনে হয়েছিল ম্যাচ বেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তা আর হতে দেননি ফখর জামান ও খুশদিল শাহ। শেষদিকে সাদাব খানের ক্যামিও ইনিংসে ৪ বল হাতে রেখেই ৪ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান। তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল বাবর আজমরা।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তানকে ১২৮ রানের লক্ষ্য দেয় টাইগাররা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয় পেল পাকিস্তান।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলা মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজমের জুটিতে ওপেনিং করতে নামে পাকিস্তান। ঘরের মাঠে বোলিংয়ে ওপেন করেন স্পিনার মেহেদী হাসান। প্রথম ওভারে ৪ রান দেন তিনি। তাসকিনের দ্বিতীয় ওভারে একটি চারে ৯ রান তুলে এই জুটি।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বোলিংয় এসেই দুর্দান্ত এক বলে রিজওয়ানকে বোল্ড করেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। ১১ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফিরেন রিজওয়ান। চতুর্থ ওভারে বাবর আজমকে বোল্ড করে ফেরান তাসকিন আহমেদ। পাকিস্তানি অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ১০ বলে ৮ রান। ২২ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় পাকিস্তান।
হায়দার আলীকে তুলে নেন মেহেদী হাসান। তিন বল খেলে কোনো রান না করেই ফিরেন হায়দার আলী। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের শেষ বলে উইকেট কিপার নুরুল হাসান সোহানের দুর্দান্ত থ্রোয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটার শোয়েব মালিক ফিরেন সাজঘরে। তিন বলে খেলে রানের খাতা খুলতেই পারেননি তিনি। পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৪ রান করে পাকিস্তান।
এরপর ৫৬ রানের জুটি গড়েন ফখর জামান ও খুশদিল শাহ। দুই জনের জুটিতে ম্যাচ বাংলাদেশের থেকে প্রায় বের করে নেন। কিন্তু ফখর জামানকে তুলে নেন তাসকিন আহমেদ। ৪টি চারে ৩৬ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন ফখর।
একপ্রান্ত ধরে রেখে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন খুশদিল শাহ। সাদাব খানকে নিয়ে ১৫ বলে ১৬ রানের জুটি গড়েন তিনি। খুশদিলকে উইকেট কিপারের হাতে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান শরিফুল ইসলাম। শেষ দিকে এসে সাদাব খান ও মোহাম্মদ নাওয়াজের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান। অপরাজিত ২১ ও ১৮ রান করেছেন যথাক্রমে সাদাব ও নওয়াজ।
বাংলাদেশের হয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। এছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।