গত ডিসেম্বরেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, বিসিবির ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব নিতে ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় আসছেন টাইগারদের সাবেক হেড কোচ জেমি সিডন্স।
গত ২ ফেব্রুয়ারি সিডন্স ঢাকায় আসেন। সেদিন হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হোটেলে চলে যান তিনি। পরদিন বিসিবির সঙ্গে বৈঠকে বসতে যান মিরপুরের বিসিবি কার্যালয়ে। এরপর বিপিএলে ক্রিকেটারদের পারফর্ম দেখার জন্য ঢাকার পর ছুটে গিয়েছিলেন সিলেটেও।
তবুও তিনি ঠিক কোন দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন, সেটি নিয়ে বিসিবির ধোঁয়াশা রয়েই গিয়েছিল। মূলত তাকে ব্যাটিং কোচ করে আনার কথা ভাবা হলেও জাতীয় দলে এই পদটিতে তখন দায়িত্বরত ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাশওয়েল প্রিন্স।
তাই জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ প্রিন্স থাকলে সিডন্সকে হাই পারফরম্যান্স, অনূর্ধ্ব-১৯ দল কিংবা বাংলা টাইগার্স দলের দায়িত্বে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছিল। অবশেষে সব ঝামেলা চুকে গেছে। পারাবারিক কারণ দেখিয়ে প্রিন্স জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের পদ ছেড়ে দিয়েছেন বুধবার। তাই অস্ট্রেলিয়ান সিডন্সই বসছেন এই চেয়ারে।
এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘জেমি সিডন্সকে ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েই এনেছিলাম আমরা। আজ থেকে তিনি জাতীয় দলের সঙ্গে অন্তুর্ভূক্ত হলেন।’
কিন্তু সিডন্সকে যদি ব্যাটিং কোচ হিসেবেই আনা হয়, তবে ধোঁয়াশাটা কেন ছিল? আজ থেকে কেন জাতীয় দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হলেন, আগেই তো ঘোষণাটা দেওয়া যেতো!
আসলে বাধাটা ছিল চুক্তির। বিসিবি আগে থেকেই ব্যাটিং কোচ প্রিন্সের ব্যাপারে সন্তুষ্ট ছিল না। কিন্তু তার সঙ্গে চুক্তি তো রয়েই গিয়েছিল। তাই বিদায়ও বলতে পারছিল না।
অন্যদিকে জেমি সিডন্স পরীক্ষিত কোচ। ২০০৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি হেড কোচ থাকার সময়ই সাকিব-তামিম-রিয়াদ-মুশফিকদের ব্যাটিংয়ে চোখে পড়ার মতো উন্নতি হয়।
যেহেতু প্রিন্স ব্যাটিং কোচের পদটি ধরে ছিলেন, তাই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিতে পারছিল না বিসিবি। কেননা গতকাল পর্যন্তও প্রিন্সের চুক্তির ব্যাপারটি চুকেবুকে যায়নি।
অবশেষে প্রিন্স নিজে থেকেই সরে গেছেন। তাই সিডন্সকে ব্যাটিং কোচ করার পথে আর কোনো বাধা নেই। আনুষ্ঠানিকভাবে এই দায়িত্বে জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান কোচ।