ইনিংসের শুরুর দিকে ১ উইকেট হারিয়ে দলের রান শতক ছাড়িয়ে গেলে মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ বড় সংগ্রহের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। আফগানিস্তানের বোলারদের রীতিমত তুলোধুনো করছিলেন গত ম্যাচে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকানো এক ব্যাটার। কিন্তু লিটন দাসের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে বড় ধস নেমে এসেছে। আফগান স্পিনার রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবীর বোলিং তোপে মাত্র ১৯২ রানের থেমে গেছে বাংলাদেশের ইনিংস।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্যে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের দুই ওপেনারই সাবধানী ব্যাটিংয়ে ইনিংস শুরু করেছিলেন। পাঁচ ওভারে কোনো বাউন্ডারিই হাঁকাতে পারেনি তারা। এরপরই ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন লিটন। দারুণ সব শট খেলছেন তিনি। কিন্তু সিরিজে বরাবরের মতো আজকেও ব্যর্থ তামিম ইকবাল। আগের দুই ম্যাচে এলবিডব্লিউ আউট হওয়া তামিম ফের ফজলহক ফারুকির ইনসুইংয়ে হয়ে গেছেন বোল্ড। এর আগে ২৫ বল খেলে করেছেন ১১ রান, হাঁকিয়েছেন কেবল একটা বাউন্ডারি।
এরপর সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান লিটন। দুজনে মিলে করেন ৬১ রানের জুটি। দলীয় ১০২ রানের মাথায় বিদায় নেন সাকিব। আফগান পেসার আজমতউল্লাহর বলে আউট হবার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৩০ রান।
সাকিব ফিরলেও আফগানিস্তান বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে লিটন তুলে নেন দারুণ এক ফিফটি। মূলত তার পঞ্চাশের পরই বাংলাদেশ শিবিরে ব্যাটিং ধস নামে। একে একে মুশফিক, ইয়াসির রাব্বি, মিরাজ, আফিফসহ বাকি ব্যাটাররা ক্রিজে আসা যাওয়ার মধ্যেই পড়ে রইলেন ব্যাটিং ব্যর্থতাকে সঙ্গী করে।
এক মাহমুদউল্লাহ বুড়ো হাড়ের ভেল্কি দেখিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলে তিনিও তা যোগ্য পার্টনারের অভাবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ফলে লিটনের ১১৩ বলে ৮৬ রানের পরও আফগান স্পিনার রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবীর বোলিং তোপে ৪৬ ওভার ৫ বলে মাত্র ১৯২ রানেই থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
আফগানিস্তানের পক্ষে রশিদ খান ৩টি, মোহাম্মদ নবী ২ টি এবং ফজল হক-আজমতউল্লাহ নেন একটি করে উইকেট।
আজকের ম্যাচে জয় পেলে আইসিসি ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে পাকিস্তানকে সরিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ছয় নম্বর স্থানে জায়গা করে নিবে বাংলাদেশ। বর্তমানে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পয়েন্ট সমান ৯৩।