• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রান তাড়ায় টাইগারদের শুভ সূচনা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২২, ০৯:১৫ পিএম
রান তাড়ায় টাইগারদের শুভ সূচনা
ছবি সংগৃহীত

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের জন্য ১৫৫ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদ ঘটিয়ে বসেছিল বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। রান তাড়ায় প্রথম ওভারেই কাগিসো রাবাদার বলে থার্ড স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন লিটন। কিন্তু সেখানে প্রোটিয়া ফিল্ডার কেশভ মাহারাজ বলটি তালুবন্দী করতে পারেননি। এরপর লুঙ্গি এনগিদির একটি বল ঠিকমত খেলতে পারেননি তামিম। ব্যাটে লেগে বলটা পিচ করে স্ট্যাম্পের কান ঘেঁষে বুলেট যাওয়ার মত অবস্থা। সমূহ বিপদ থেকে বেঁচে যান তামিম। বেঁচে যায় বাংলাদেশও।

এরপর বাংলাদেশের ব্যাটাররা আর বিপদে পড়তে দেননি ইনিংসে। বিপদ থেকে রেহাই পাওয়ার পর শুভ সূচনা করেছে এই দুই ব্যাটার। বাংলাদেশও জয়ের বন্দরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। উইকেট ধরে রেখে প্রথম ১২ ওভার শেষে ৬৬ রান করেছে এই জুটি। ৪৫ রান নিয়ে ব্যাট করছেন তামিম ইকবাল। অপর ব্যাটার লিটন অপরাজিত ১৯ রানে। জয়ের জন্য বাংলাদেশের এখনও করতে হবে ৮৯ রান। হাতে আছে ১০ উইকেট। 

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিকরা। শুরুটা টি-টোয়েন্টির বেগে করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার জানেমান মালান ও কুইন্টন ডি কক। দলের সংগ্রহ পঞ্চাশের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল তাদের। সেখানেই মিরাজের ম্যাজিকে প্রথম উইকেটের দেখা পায় টাইগাররা। 

সে ওভারে মিরাজের পঞ্চম বলে তুলে মারতে গিয়ে ঠিকঠাক টাইমিং করতে পারেননি ডি কক, লং-অফে সহজ ক্যাচ নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। ৪৬ রানে ডি কক নিজে ১২ রানে বিদায় নিলে প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
 
এরপর বাংলাদেশি বোলাররা ঘুরে দাঁড়ায়। নিজের টানা দুই ওভারে তাসকিন তুলে নেন জোড়া উইকেট। তাদের উইকেট-উৎসবে পরে যোগ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান আর শরিফুল ইসলাম। যার ফলে দলীয় ৮৩ রানেই ৫ উইকেট হারায় তারা।  

বাংলাদেশি বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে দিশেহারা হয়ে স্বাগতিকরা এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। তাসকিনের আগুনে ঝরা বোলিংয়ে কাছে পরাস্ত হয়ে কোণঠাসা হয়ে যায় প্রোটিয়াদের ব্যাটিং লাইনআপ। ম্যাচে তাদের ব্যাটিং লাইন আপকে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন টাইগার ডানহাতি এই পেসার। ২০১৪ সালে অভিষেক ভারতের বিপক্ষে ৫ উইকেট পাবার পর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তুলে নিলেন দেশসেরা এই পেসার। 
 
তার ৫ উইকেটের সঙ্গে বাকি বোলারদের দৃঢ়তায় ৩৭ ওভারে মাত্র ১৫৪ রানেই থামে প্রোটিয়াদের ইনিংস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন ওপেনার জানেমান মালান। এছাড়া লোয়ার অর্ডার ব্যাটার কেশব মহারাজ করেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান। 

বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিনের ৫ উইকেটের সঙ্গে সাকিব পেয়েছেন ২ উইকেট। এছাড়া শরিফুল ও মিরাজ নেন একটি করে উইকেট।

Link copied!