ম্যাচে তখনো নিশ্চিত হয় পূর্ণ তিন পয়েন্ট, এমনকি ছিল হারার শঙ্কা। কিন্তু তারপরেও দলের সবচেয়ে বড় তারকাকেই তুলে নিলেন কোচ মরিসিও পচেত্তিনো। তবে ম্যাচে শেষের হাসি হেসেছেন পচেত্তিনোই, কিন্তু হাসলে কী হবে? ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা লিওনেল মেসিকে তুলে নিয়েছেন ম্যাচের ৭৬ মিনিটে। তবে এক আর্জেন্টাইনকে তুলে নিলেও আরেক আর্জেন্টাইনের গোলেই ম্যাচ জিতেছে পিএসজি। ম্যাচ শেষে অবশ্য আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে তুলে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন স্বদেশি কোচ পচেত্তিনো।
স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার হয়ে ম্যাচের অন্তিম মুহুর্তে গোল করে যে কত ম্যাচ জিতেছেন, তা সবারই মনে গেঁথে আছে। যে মেসি সব সময় খেলতে ভালোবাসেন, সে মেসিকে ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে উঠিয়ে নিলে রেগে যাবেন তা তো স্বাভাবিকই। লিগ ওয়ানে লিওঁ বিপক্ষে ম্যাচে হঠাৎ করেই উঠিয়ে নেওয়ায় রেগে গিয়েছিলেন মেসি। এমনকি সে সময় কোচের সঙ্গে ঠিকমতো হাতও মেলাননি তিনি। মাঠে থেকে বের হওয়ার সময় কী যেন বলছিলেন বিড়বিড় করে।
পিএসজির আর্জেন্টাইন কোচ মরিসিও পচেত্তিনো জোর দিয়ে বলেছেন, লিওনের বিপক্ষে ম্যাচে উঠিয়ে নেওয়ার পরেও সাবেক বার্সেলোনা তারকা ও তার মধ্যে কোনো সমস্যা নেই।
ম্যাচে যে সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়, তা দল ও খেলোয়াড়ের জন্যই ভালো জানিয়ে কোচ বলেন, “আমাদের ৩৫ সদস্যের স্কোয়াডে অনেক দুর্দান্ত খেলোয়াড় আছে, যা আসলে সবারই জানা। ম্যাচে মাত্র ১১ জন খেলতে পারে, আমরা চাইলেও বেশি খেলাতে পারি না। ম্যাচের স্কোয়াডে কে থাকবে আর ম্যাচে কে খেলবে, তা আমরা ঠিক করি। খেলায় যে সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়, তা দল ও প্রতিটি খেলোয়াড়ের ভালোর জন্যই নেওয়া হয়।”
কোচ আরও বলেন, “সব কোচই এটা নিয়ে চিন্তা করে। কখনো কখনো এটি কাজ করে, আবার কখনো কখনো করে না। কখনো কখনো খেলোয়াড়রা এটি পছন্দ করে এবং কখনো কখনো তারা তা করে না। দিন শেষে আমরা এখানে আছি।”
ম্যাচে এমন প্রতিক্রিয়ার পর ম্যাচ সম্পর্কে নাকি মেসিকে জিজ্ঞেস করেছিলেন কোচ। এ বিষয়ে কোচ বলেন, “এগুলো এমন সিদ্ধান্ত যা কোচকেই নিতে হয়। তার এমন প্রতিক্রিয়ার জন্য, আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম সে কেমন আছে, সে বলল সে ঠিক আছে। আসলে এটাই ছিল আমাদের মধ্যে কথোপকথন।”
ছয় ম্যাচের সব কটি জিতে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে পিএসজি।