• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

টিকা নিতে চাপ দিলে ট্রফি বিসর্জনেও প্রস্তুত জোকোভিচ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২, ১১:৫৮ এএম
টিকা নিতে চাপ দিলে ট্রফি বিসর্জনেও প্রস্তুত জোকোভিচ
ফাইল ছবি

টেনিসে বিশ্বে পুরুষদের এক নম্বর খেলোয়াড় সার্বিয়ান নোভাক জোকোভিচ বলেছেন যে কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য তাকে চাপ দেওয়া হলে ভবিষ্যতে তিনি যেকোনো টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়াতেও প্রস্তুত রয়েছেন।

২০ বারের গ্র্যান্ড স্লাম বিজয়ী এই টেনিস তারকাকে গত মাসে অস্ট্রেলিয়া থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া সরকার তার ভ্যাকসিন ইস্যু নিয়ে পরপর ভিসা বাতিল করেছে। জোকোভিচ সেই সময়কে খুব কঠিন বলে বর্ণনা করেছেন।

বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ঘটনার সময় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও মিডিয়াতে কথা বলেননি তিনি। কারণ, তিনি আইনি প্রক্রিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ান ওপেনকে সম্মান করতে চেয়েছিলেন। 

বিশ্বের এক নম্বর পুরুষ টেনিস খেলোয়াড় আরও বলেছিলেন, তার ভ্যাকসিনবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হওয়া উচিত নয়। তবে একজন ব্যক্তির বেছে নেওয়ার অধিকারকে সমর্থন করা উচিত।

অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসনমন্ত্রী অ্যালেক্স হক ব্যক্তিগতভাবে ৩৪ বছর বয়সী জোকোভিচের ভিসা বাতিল করেছিলেন। তিনি কারণ দাঁড় করিয়েছিলেন যে, জোকোভিচের উপস্থিতি সে দেশের নাগরিকদের অস্থিরতা উসকে দিতে পারে এবং ভ্যাকসিনবিরোধী মনোভাবকে উৎসাহিত করতে পারে।

জোকোভিচ বলেন, “আমি কখনোই টিকা দেওয়ার বিরুদ্ধে ছিলাম না। কিন্তু আমি সব সময় আপনার শরীরে আপনি যা রাখবেন তা বেছে নেওয়ার স্বাধীনতাকে সমর্থন করেছি।”

জোকোভিচ আশা করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার টুর্নামেন্টে টিকা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি পরিবর্তিত হবে। তিনি আশা করছেন যে তিনি আরও অনেক বছর খেলতে পারবেন। তবে তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, টিকা নেওয়ার বিষয় চাপিয়ে দিলে পরিসংখ্যানগতভাবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ পুরুষ টেনিস খেলোয়াড় হওয়ার সুযোগটি ত্যাগ করতেও তিনি ইচ্ছুক।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “আমার শরীরের সিদ্ধান্ত নেওয়া অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি যতটা সম্ভব আমার শরীরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করছি। এর জন্য যেকোনো মাশুল দিতেও আমি প্রস্তুত।”

জোকোভিচ আরও বলেন, “আমি কখনোই টিকা দেওয়ার বিরুদ্ধে ছিলাম না। আমি বুঝতে পারি, বিশ্বব্যাপী সবাই এই ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে আনতে বড় প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এবং আশা করছি এই ভাইরাস শিগগিরই শেষ হবে।”

Link copied!