ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই ক্রিকেটারদের ২০২১-২২ সালের নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তি প্রকাশ করেছে। এই চুক্তিতে অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া এবং সিনিয়র ব্যাটার শিখর ধাওয়ান গ্রেডে অবনমিত হয়ে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
নতুন এই চুক্তিতে ইশান্ত শর্মা, অজিঙ্কা রাহানে এবং চেতেশ্বর পূজারাও গ্রেডে পিছিয়ে পড়ে তাদের বার্ষিক আয় কমিয়ে ফেলেছেন। অন্যদিকে, শ্রেয়াস আইয়ার, মোহাম্মদ সিরাজ এবং অক্ষর প্যাটেল সবাই সমানে এগিয়ে গেছেন।
ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা, সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং জাসপ্রিত বুমরাহ তাদের চুক্তি বহাল রেখে এ+ গ্রেডে আছেন। যারা বার্ষিক ৭ কোটি টাকা পান। এ গ্রেডের খেলোয়াড়রা পান বার্ষিক ৫ কোটি, বি গ্রেড ৩ কোটি ও সি গ্রেড ১ কোটি। পান্ডিয়া এবং ধাওয়ান গ্রেড এ থেকে সিতে নেমে গেছেন। পান্ডিয়া গত দুই বছর ধরে ফিটনেস সমস্যায় ভুগছেন। ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে ভারতের হয়ে মাঠে নামেননি তিনি।
শুক্রবার (৪ মার্চ) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে ভারত। এই টেস্টের আগে কেন রাহানে, পূজারা, ইশান্তকে বি গ্রেডে অবনমিত করা হলো, এই বিষয়ে অবাক হয়েছেন অধিকাংশই।
ভারতীয় বোর্ড সিনিয়রদের চেয়ে জুনিয়রদের দিকে আগ্রহী হয়ে তাদের দলে সুযোগ দিতে চাইছেন। ভারতের নির্বাচক চেতন শর্মা ঋদ্ধিমান সাহার পাশাপাশি (যিনি টেস্ট থেকে বাদ পড়েছেন) তিনজন খেলোয়াড়ের সাথে কথা বলেছেন তরুণদের দলে আরও কীভাবে সুযোগ দেওয়া যায় এই বিষয়ে। অবশ্য ঋদ্ধিমান বাদে বাকি তিনজন খেলোয়াড় রঞ্জি ট্রফির লিগ পর্বে খেলেছেন। তারা জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রেখেছেন।
আইয়ার, সিরাজ এবং অক্ষর তিনজনই সি গ্রেডে ছিলেন। তারা গত বছর ধরে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের কারণে এক ধাপ এগিয়ে গেছেন। বোলিং অলরাউন্ডার শার্দুল ঠাকুর তার বি গ্রেডের চুক্তি ধরে রেখেছেন।