কোনো ম্যাচের ফল বা ম্যাচের নির্দিষ্ট অংশের ফল আগেই নির্ধারণ করে খেলাকে ম্যাচ ফিক্সিং বলে। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রধান কারণ হলো জুয়াড়িদের মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা। আর কোনো খেলাকে কেন্দ্র করে অর্থের বিনিময়ে বাজি ধরাকে বেটিং বলে।
বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ বহু পুরোনো। গেল মৌসুমে আরামবাগ ক্লাবের কয়েকজন খেলোয়াড়, কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এএফসি অনলাইন বেটিং ও স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তুলে। এরপর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) তদন্ত করে আরামবাগ ক্লাবের সাবেক সভাপতিসহ কয়েকজন খেলোয়াড়, কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করে। সম্প্রতি ফিফাও এসব কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়দের ফুটবলে আজীবন নিষিদ্ধ করে।
চলমান মৌসুমে এই বিষয়ে বেশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বাফুফে৷ ফুটবল সংশ্লিষ্ট কেউ যেন এতে না জড়ান এজন্য একটি নির্দেশনা পত্র জারি করেছে ফেডারেশন। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ স্বাক্ষরিত পত্রে পাঁচটি নির্দেশনা রয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে- যেখানে নিজে থেকে না জড়ানোর অনুরোধ, কেউ কোনা প্রস্তাব পেলে তৎক্ষণাৎ বাফুফের ইন্টিগ্রিটি ইউনিটকে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে। বাফুফের আওতাধীন সকল স্ট্যান্ডিং কমিটি ছাড়াও ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতিকেও এই বিষয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে । বাফুফে চিঠিতে ইন্টিগ্রিটি অফিসারের যোগাযোগের নাম্বারও দিয়েছে। যারা এ সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করবে তাদের নাম পরিচয় গোপন রাখবে ফুটবল ফেডারেশন।