টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে লজ্জার হারের পর ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের খোঁজে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। কিন্তু জিততে জিততে বাবর আজমদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হেরেছে টাইগাররা। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে সিরিজে টিকে থাকার জন্য মাঠে নেমেছে মাহমুদউল্লাহ বাহিনী।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ায় এমনিতেই বেশ চাপে ছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচ হেরে গেলে সিরিজ হাতছাড়া হবে, এমন ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১০৮ রান করেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেছেন নাজমুল হাসান শান্ত।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই মাঠে নামে বাংলাদেশ।
ওপেনিং জুটির ব্যর্থতার ধারা আজও বজায় রেখেছে বাংলাদেশ। মোহাম্মদ নাঈম ও সাইফ হাসানের ওপেনিং জুটি ভাঙ্গে দলীয় ১ রানেই। প্রথম ওভারে পঞ্চম বলে ফখর জামানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মোহাম্মদ নাঈম। তার ওপেনিং পার্টনার গোন্ডেন ডাক মেরে আউট হন শাহীন আফ্রিদির বলে। দলীয় ৫ রানের মাথায় দুই ওপেনারই ফিরেন সাজঘরে।
দুই ওপেনার যে বিপদের মধ্যে ফেলে দেন তা থেকে কিছুটা উদ্ধার করেন নাজমুল হাসান শান্ত ও আফিফ হোসেন। দুইজনের ৩৭ বলে ৪৬ রানের জুটি ভাঙেন সাদাব খান। একটি করে চার ও ছয়ে ২১ বলে ২০ রান করে আউট হন আফিফ হোসেন।
এরপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ নেমেও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। হারিস রউফের বলে উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। তার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে ১২ রান। অধিনায়কের পর বেশিক্ষণ টিকেননি শান্ত। সাদাব খানের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফিরেন শান্ত। তবে আউটের আগে ৫টি চারে দলীয় সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে তার ব্যাট থেকেই।
এরপর ৮ বলে ৩ রান করে ফিরেছেন মেহেদী হাসান। শেষদিকে নুরুল হাসান ১১, আমিনুল ইসলাম ৮* রানে অপরাজিত থাকেন।
নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৮ রান করেছে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ১০৯ রান।
পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সাদাব খান ও শাহিন আফ্রিদি। এছাড়া মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ ওয়াসিম ও হারিস রউফ নিয়েছেন একটি করে উইকেট।