মিরপুরে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫০* রান করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক টম লাথাম। টাইগার বোলার শরীফুল নিয়েছেন দুই উইকেট। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৩-১ এ এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।
নিয়মরক্ষার এ ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে চারটি ও নিউজিল্যান্ড একাদশে আসে তিনটি পরিবর্তন। আগের ম্যাচের একাদশ থেকে বিশ্রামে দেওয়া হয় সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শেখ মেহেদী হাসানকে। একাদশে জায়গা পান সৌম্য সরকার, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ। নিউজিল্যান্ডের একাদশে ফিরেন স্কট কুগেলেইন, বেন সিয়ার্স ও জ্যাকব ডাফি।
বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কিউই অধিনায়ক টম লাথাম। নিউজিল্যান্ডের হয়ে বরাবরের মতো ওপেনিংয়ে আসেন ফিন অ্যালেন ও রাচীন রবীন্দ্র। আগের সবগুলো ম্যাচে স্পিন দিয়ে বোলিং আক্রমণ শুরু করলেও আজ পরিবর্তন আনেন অধিনায়ক। একাদশে ফিরেই বোলিংয়ে ওপেন করতে আসেন পেসার তাসকিন আহমেদ। প্রথম ওভারে দুই রান দেন তিনি।
প্রথম ওভার দেখেশুনে খেললেও দ্বিতীয় ওভারেই খোলস থেকে বের হয়ে চার-ছয়ের ফোয়ারা ছড়াতে থাকেন আগ্রাসী ব্যাটসম্যান অ্যালেন। নাসুম আহমেদের দ্বিতীয় ওভার থেকেই ১২ রান তুলে সফরকারীরা। একটি করে চার ও ছয় মারেন অ্যালেন।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে একটি চারের মাধ্যমে পাঁচ রান তুলে কিউইরা। পরের ওভারে আক্রমণ আসেন পেসার শরিফুল ইসলাম। তিনটি চার ও একটি ছয়ের মাধ্যমে ১৯ রান তুলে ফেলে সফরকারীরা। আগের ম্যাচগুলোতে যেখানে ব্যাটসম্যানরা ধুঁকছিল, সেখানে দ্রুত রান তুলতে থাকে এই জুটি। ৫ ওভার শেষেই ৪৭ রান করে ফেলে নিউজিল্যান্ড। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারেই ৫০ পেরিয়ে যায় এই জুটি।
প্রথম ৯ বলেই ৩০ রান দিয়েছিলেন শরীফুল। এর পরের বলেই পেলেন উইকেটের দেখা। শরীফুলের বল তুলে মারতে গিয়ে মিড-অফে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন রবীন্দ্র। নিউজিল্যান্ড প্রথম উইকেট হারায় ৫৮ রানের মাথায়। সে ওভারেই বিধ্বসী অ্যালেনকে তুলে নেন শরীফুল। শরীফুলের গুড লেন্থের বল ফ্লিক করতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হন তিনি। ৩টি ছয় ও চারটি চারে ২৪ বলে ৪১ রান করেন তিনি।
আফিফের বলে উইকেট কিপার নুরুল হাসান সোহানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৮ বলে ৬ রান করে ফিরেন উয়িল ইয়াং। নাসুম ফেরান কলিং ডি গ্রান্ডহোমকে।
এরপর হেনরি নিকোলস ও অধিনায়ক টম লাথাম এগিয়ে থাকেন দলকে। দুই জনের ৩৫ রানের জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। তাসকিনের ওয়াইড ইয়র্কার বল খেলতে গিয়ে উইকেট কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন নিকোলস। ২১ বলে ২১ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
আফিফ, নাসুম ও তাসকিন নিয়েছেন একটি করে উইকেট।