দীর্ঘ ৩ বছর ব্রেন টিউমারের সঙ্গে লড়াই করে গত মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন রুবেল। তারকা এই বাঁহাতি স্পিনারের কবর দেয়া হয় রাজধানীর বনানী কবরস্থানে। তবে সেখানকার নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি কবর ২ বছর পর্যন্ত স্থায়িত্ব পায়। তাই রুবেলের সহধর্মিণী চৈতি ফারহানা রূপা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তাদের একমাত্র ছেলের কথা ভেবে হলেও কবর স্থায়ী করার আর্জি জানিয়েছেন।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) ছেলে রুশদানকে নিয়ে কবর জিয়ারত করতে এসে গণমাধ্যমের সামনে কান্নারত অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে রুবেলের স্ত্রী এই আহ্বান জানান।
এসময় চৈতি বলেন, ‘‘রুবেল তো দেশের জন্য খেলেছে। কিন্তু এখানে (বনানী কবরস্থান) মাত্র দুই বছরের জন্য তার কবর স্থায়ী হবে। এখানে কবর স্থায়ী করতে হলে প্রায় এক কোটি টাকা লাগে। আমার কাছে তো এতগুলো টাকা নেই। আমি চাই রুবেলের কবরটা স্থায়ী হোক। রুবেল যেন একটু মাটি পায়।’’
তিনি সঙ্গে আরও যোগ করেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী তো অনেককে অনেক কিছু দেন। উনি তো আমাদের ক্রিকেটারদের জন্য অনেক কিছু করেন। তার কাছে আমার একটাই চাওয়া, আমার রুবেল একজন মৃত ক্রিকেটার, তাকে কী একটু মাটি দিবেন না।’
২০১৯ সালে মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়লে সিঙ্গাপুরে অস্ত্রোপচার করার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। মাঠেও ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় আবারও টিউমারটি মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে গত বছরের নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভারতের একটি হাসপাতালে আবারও অস্ত্রোপচারের করা হয়। তবে তাতেও খুব একটা উন্নতি হয় না। অবশেষে তো চিরবিদায় বলে দিলেন রুবেল!
রুবেলের স্ত্রী বললেন, ‘রুবেলের জন্য একটা স্থায়ী মাটি যাতে আমার ছেলেটা দেখতে পারে। দু’ই ছর পর তুলে ফেললে আমরা তো পারব না রুবেলকে দেখতে। রুবেল তো কোথাও নেই, শুধু এখানে আছে।’