পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৬১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৫ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশ পেয়ে যায় ৭ উইকেটের সহজ জয়। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন সাকিব আল হাসান। টি-টোয়েন্টিতে কিউইদের বিপক্ষে প্রথম জয় এটি।
বাংলাদেশের হয়ে ব্যাটিংয়ে ওপেনিং করতে নামেন মারকুটে ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাস ও তরুণ মোহাম্মদ নাঈম শেখ। বাংলাদেশের মতো সফরকারীরাও প্রথম ওভারেই স্পিন দিয়ে আক্রমণ শুরু করেন বাঁহাতি অর্থোডক্স এজাজ প্যাটেল।
ছোট রানের লক্ষ্যে শুরুটা ভালো করতে পারল না বাংলাদেশ। কোল ম্যাককনকির বলে উইকেট থেকে বেরিয়ে খেলতে গিয়ে হেনরি নিকোলসের হাতে ধরা পড়েন নাঈম। অভিষেকেই প্রথম বলেই উইকেট পেলেন তিনি। ১ রানেই ১ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ক্রিজের বাইরে শট খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হয়েছেন আরেক ওপেনার লিটন দাস। তিনিও করেন মাত্র এক রান। ৭ রানেই দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর দেশসেরা দুই ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে দুই উইকেট হারিয়ে ২২ রান করে বাংলাদেশ। যেখানে নিউজিল্যান্ড করেছিল ১৮ রান।
দেশসেরা দুই ব্যাটসম্যানের মধ্যকার ৪২ বলে ৩০ রানের জুটি দলকে নিয়ে যায় জয়ের আরও কাছে। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবকে ফেরান স্পিনার রাচিন রবীন্দ্র। রবীন্দ্রের পঞ্চম বলে লেট কাট করতে গিয়ে উইকেট কিপার টম লাথামের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি। দুই চারে ৩৩ বলে ২৫ রান করেন তিনি। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান করে ৩ উইকেটে ৩৭।
এরপরে আর কোন উইকেট হারাননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম। মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান। মাহমুদউল্লাহ করেন ১৪ রান।
ওভারের পঞ্চম বলে লেট কাট করতে চেয়েছিলেন সাকিব, কিন্তু বল তাঁর ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটের পেছনে ক্যাচ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রবীন্দ্রর প্রথম শিকার হয়ে সাকিব ফিরলেন ৩৩ বলে ২৫ রান করে
এর আগে বাংলাদেশের বোলিং তোপে পড়ে ১৬.৫ ওভারেই অলআউট হন নিউজিল্যান্ড। সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ ১৮ রান করেন অধিনায়ক টম লাথাম। বাংলাদেশের হয়ে কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান নিয়েছেন ৩ উইকেট। এছাড়া নাসুম, সাকিব ও সাইফউদ্দীন নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।
সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে ৩ সেপ্টেম্বর।