টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে দুই রাত হাসপাতালে কাটিয়েছিলেন পাকিস্তানের ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। বুকে সংক্রমণ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। তার পরেও দেশের হয়ে স্বপ্নের সেমিফাইনালে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন রিজওয়ান। রিজওয়ানের মধ্যে এমন দেশ প্রেম দেখে অবাক হয়েছেন তার ভারতীয় চিকিৎসক সাহির সাইনালবদিন।
সেমিফাইনালের মঞ্চে ব্যাট করতে নেমে শুরুর দিকে একটু নড়বড়ে মনে হলেও শেষের দিকে এসে নিজের জাত চেনান রিজওয়ান। এমনকি সেমির মঞ্চে সৌভাগ্য ছিল তার, কারণ দুই দুইবার জীবন পেয়েছিলেন তিনি।
রিজওয়ানের খেলার ইচ্ছা ও মানসিকতার প্রশংসা করে চিকিৎসক সাহির বলেন, ‘‘রিজওয়ান হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে খালি বলতেন, আমি খেলব। আমাকে দলের সঙ্গে থাকতে হবে।’’
এত অল্প সময়ের মধ্যে রিজওয়ানের সুস্থ হয়ে ওঠা নিয়ে অবাক চিকিৎসক। তিনি বলেন, ‘‘দেশের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলতে নামার অদম্য আগ্রহ ছিল রিজওয়ানের। উনি দৃঢ় এবং আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। যে সময়ের মধ্যে রিজওয়ান সুস্থ হয়ে ওঠেন তা আমাদের অবাক করেছে।’’
বেশ কিছু দিন ধরে কাশি ও বুকে ব্যথা হচ্ছিল রিজওয়ানের। ওই অবস্থাতেই খেলছিলেন তিনি। সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। সাহির বলেন, ‘‘হাসপাতালে ভর্তি করার সময় রিজওয়ানের বুকে ব্যথা খুব বেশি হচ্ছিল। আমরা সঙ্গে সঙ্গে আইসিইউতে ভর্তি করি। তার সংক্রমণ মারাত্মক ছিল। এই ধরনের সংক্রমণ থেকে কোনও রোগীর সুস্থ হতে অন্তত পাঁচ থেকে সাত দিন সময় লাগে।’’
রিজওয়ানকে আইসিইউতে ৩৫ ঘণ্টা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সাহির। তিনি বলেন, ‘‘একজন ক্রিকেটার হওয়ায় অন্যদের থেকে শারীরিক ক্ষমতা বেশি রিজওয়ানের। সেই ক্ষমতা ও ধর্মীয় বিশ্বাস তাকে দ্রুত সুস্থ করে তুলেছে।’’
সেমিফাইনালে দুর্দান্ত খেললেন হেরে যায় পাকিস্তান। তবে সে ম্যাচে দলীয় সর্বোচ্চ রান করা রিজওয়ান ম্যাচ শেষে চিকিৎসককে নিজের জার্সি উপহার দেন।