টানা চতুর্থবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ভারতীয় যুবারা। বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) যশ ধুলের দল অস্ট্রেলিয়াকে ৯৬ রানে উড়িয়ে টানা পঞ্চম জয় পেয়েছে। অধিনায়ক ১১০ রান করে দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তাকে তার সহ-অধিনায়ক শাইক রশিদ ৯৪ রান করে দারুণ সহযোগিতা করেছেন। তাদের ২০৪ রানের জুটি ভারতকে ২ উইকেটে ৩৭ রানের বিপর্যয় থেকে বের করে দারুণ ইনিংসের দিকে নিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ইনিংস থামে ৫ উইকেটে ২৯০ রানে।
ইনিংসের শুরুতে দুই ওপেনারকে হারানো ভারতের জন্য সুখের ছিল না। উইলিয়াম সালজম্যান প্রথম আঘাত করেন। রঘুবংশীর উইকেট কেড়ে নেন দলীয় মাত্র ১৬ রানে। তাকে অনুসরণ করে হারনুর সিংও দ্রুত প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। এরপর রাশেদ এবং ধুল, উভয় একসাথে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন এবং তারা রান পেতে কোনো তাড়াহুড়ো করেননি।
দুই বলে দুইজন সর্বোচ্চ স্কোরারের উইকেট খোয়ালেও ভারতের রানের চাকা অচল হয়নি। ইনিংসের শেষদিকে আগত ব্যাটাররা শেষ ১৮ বলে ৪৮ রান করে ভারতকে ২৯০ এর ইনিংসে পৌঁছে দেয়। দিনেশ বানা চার বলে অপরাজিত ২০ এবং সিন্ধু শেষ ছয় বলে ২৭ রান করেন।
রান তাড়া করতে নেমে রবি কুমারের ডেলিভারিতে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার টিগু উইলি শুরুতেই আউট হয়ে যান। কেল্লাওয়ে এবং মিলার ইনিংস সাজানোয় প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে ৬৮ রানের জুটি গড়ে ওঠার পর তারা দ্রুত প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। ১৭তম ওভারে রঘুবংশী মিলারকে এলবিডব্লিউ করেন এবং পরের ওভারে কেল্লাওয়ে আউট হন।
এতেই অস্ট্রেলিয়া শিবিরে ধ্বস নামে। লাচলান শ তার ৫১ রানের ইনিংসে দলকে বিপর্যয় থেকে রক্ষার চেষ্টা করেন তবে তা কার্যকরী হয়নি। ৪১.৫ ওভারে ১৯৪ রানেই গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।
পাঁচ ম্যাচ অপরাজিত ভারত শনিবার ফাইনাল খেলবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ইংল্যান্ড ২৪ বছর পর এই প্রথম ফাইনালে উঠেছে।