ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্য এক ভারতীয় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১৫ হাজার ডলার ঘুষ নিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার ব্রেন্ডন টেলর। এমনকি নিষিদ্ধ মাদক কোকেনও সেবন করেছিলেন তিনি।
সোমবার এক টুইট বার্তায় এই তথ্য প্রকাশ করেছেন এই সাবেক অধিনায়ক। তবে ঘুষ নিলেও ম্যাচ ফিক্সিং করেননি দাবি করে ৩৫ বছর বয়সী এই ব্যাটার জানান, বিনা দোষেই তাঁর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি।
টেলর বলছেন, "২০১৯ সালের অক্টোবরে এক ভারতীয় ব্যবসায়ী স্পন্সরশিপ ও জিম্বাবুয়েতে একটি টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করার জন্য আমাকে আমন্ত্রণ জানান। এর পরদিন তিনি আমাকে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার দিয়েছিলেন।"
এই অর্থ নেওয়ার আগে ছয় মাস ধরে কোন বেতন পায়নি টেলর। এমনকি যে কোন সময় জিম্বাবুয়ের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা ছিল।
টেলর বলেন, রাতে আলোচনার এক পর্যায়ে মদ্যপ অবস্থায় তাকে কোকেন দেন ঐ ব্যবসায়ী। যদিও নিজের বোকামির কথা স্বীকার করেছেন এই ক্রিকেটার।
টেলর আরও জানান, "পরদিন সকালে একই লোকেরা আমার হোটেল রুমে এসে কোকেন নেওয়ার সেই মুহূর্তের ভিডিও দেখায়। তারা আমাকে বলে, আমি যদি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফিক্সিং না করি, তাহলে তারা ভিডিওটি প্রকাশ করে দিবে।"
টেলরকে তখন নগদ ১৫ হাজার ডলার দেয় জুয়াড়িরা। এর চার মাস পর আইসিসির কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানান তিনি। আইসিসি তাকে নিষেধাজ্ঞা কথা জানানোয় তিনি বলেন, তিনি যে কোনো সিদ্ধান্ত মেনে নিতে রাজি আছেন।
টেলর বলেন, "আমি স্বীকার করছি, আমি আইসিসিকে অভিযোগ জানাতে দেরি করেছি। তবে আমি যা করেছি তা আমার পরিবারকে রক্ষা করতেই করেছি।"
গত বছরের শেষ দিকে জিম্বাবুয়ের অধিনায়কের পদ থেকে ইস্তফা দেন টেলর। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, দেশের হয়ে কখনোই কোনো ম্যাচ ফিক্স করেননি তিনি।