করোনার কারণেই এবারের আইপিএল পিছিয়েছে এক বছর। তবু করোনার হানা থেকে বাঁচতে পারলেন না আইপিএলের খেলোয়াড়। এবার কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বাঁহাতি বোলার থাঙ্গারাসু নটরাজন। দুবাইয়ে নির্ধারিত আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় এ ফলাফল আসে।
করোনা পজিটিভ হওয়ায় নটরাজনকে দলের বাকি সদস্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। নটরাজনের সঙ্গে যাদের সংস্পর্শ ছিল, তাদের চিহ্নিত করে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। জানা গেছে, এ পেসারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিল ফ্র্যাঞ্চাইজির আরও ছয়জন সদস্য। তারাও সবার থেকে আলাদা থাকছেন।
দলের থেকে আলাদা করা খেলোয়াড়দের মধ্যে রয়েছে অলরাউন্ডার বিজয় শঙ্কর ও নেট বোলার জি পেরিয়াসামি। বাকি চারজন হলেন কোচিং স্টাফের সদস্য। এদের মধ্যে রয়েছেন টিম ম্যানেজার বিজয় কুমার, ফিজিওথেরাপিস্ট শ্যাম সুন্দর, ডাক্তার অঞ্জনা ভান্নান ও লজিস্টিক ম্যানেজার তুষার খেদকার।
নটরাজন ও বিজয় শঙ্কর দুজনেই সানরাইজার্সের হয় একসঙ্গে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এছাড়া পুরো দলের সবাইকেই কোভিড টেস্ট করা হয়েছে। দুবাইয়ের স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় আরটি-পিসিআর পরীক্ষার সবার নেতিবাচক ফলাফল এসেছে।
ক্রিকেটবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে যে, বিজয় শঙ্কর, পেরিয়াস্বামীসহ সানরাইজার্সের অধিকাংশ খেলোয়াড় ১ সেপ্টেম্বর মুম্বাই থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে একসঙ্গে এসেছিল। আর নটরাজন আলাদাভাবে ৯ সেপ্টেম্বর বেঙ্গালুরু থেকে একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে এসে স্কোয়াডে যুক্ত হয়েছিল।
আইপিএলের সব অংশগ্রহণকারীকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসার পর ছয় দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়েছিল। তাদের সবাইকে প্রথম সপ্তাহে প্রতি দুই দিন এবং দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে প্রতি পঞ্চম দিনে পরীক্ষা করা হয়েছিল।
আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, যদি কেউ কোভিডে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে অবশ্যই কমপক্ষে ১০ দিনের জন্য আলাদা থাকতে হবে। নবম ও দশম দিনে দুটি পরীক্ষায় নেগেটিভ আসার পর তারা দলের জৈব সুরক্ষাবলয়ে যোগ দিতে পারবেন।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুবাইয়ে সানরাইজার্সের মুখোমুখি হবে দিল্লি ক্যাপিটালস।