আমরা কি এখনো সেই ভিকটিম ব্লেমিংয়ের আদিম যুগেই পড়ে আছি? কিসের নারী অধিকার, মহিলা প্রধানমন্ত্রী আর মহিলা বিচারক? কিসের উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট নিয়ে এত বড় বড় কথা? এটাকে আসলে আন্তর্জাতিকভাবে ভিকটিম ব্লেমিংয়ের শ্রেষ্ঠ উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা দরকার, বিশ্বকে দেখানো দরকার কী ঘটে বাংলাদেশে! ধিক্কার দেওয়ার ইচ্ছাটুকুও চলে যায় মহিলা জাজের নিচের এই মন্তব্যটা দেখলে!!!
“মামলার দুই ভিকটিম বিশ্বাসযোগ্য নয়। ভিকটিম দুজনই আগে থেকেই সেক্সুয়াল কাজে অভ্যস্ত, হাসপাতাল রিপোর্ট তাই বলে। অহেতুক তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন। এতে আদালতের ৯৪ কার্যদিবস নষ্ট হয়েছে। এরপর থেকে পুলিশকে এ বিষয় সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া এখন থেকে ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর যদি কেউ মামলা করতে যায়, তা না নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।”
সিরিয়াসলি?
- কত টাকা দিয়ে কিনেছে প্রভাবশালী ধর্ষকদের বাপ এই জাজকে?
- তাহলে যারা নিয়মিত যৌনসঙ্গম করেন তাদের ধর্ষণ করা হালাল?
- আর কতদিন ধর্ষিতা বা যৌন হয়রানির শিকারদের এভাবে দোষী করা হবে?
- যত দূর মনে পড়ে ধর্ষিতরা কলেজ ছাত্রী ছিল, তাদের এত ক্ষমতা যে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করে ফেলবে?
- ৭২ ঘণ্টা, কিসের ৭২ ঘণ্টা? এখন যেখানে পৃথিবীতে ৩০ বছর পরেও ধর্ষণের মামলা হচ্ছে!!!
বাংলাদেশে ধর্ষণের পরিসংখ্যান কতটা ভয়াবহ তা তুলে ধরেছিলাম আমরা থিংকের এই ভিডিওতে। দেখতে পারেন, সচতনতা সৃষ্টি করতে পারেন, প্রতিবাদে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন!