সম্ভবত টিভি খবরে একটু আগে শুনলাম, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে শিক্ষার্থীদের ফুল দেওয়া হবে।‘ কে এই ফুল ব্যবসায়ী? ফুল দেওয়া হবে—শুনলে মন তো ভরে ওঠেই। কিন্তু পেছনের কারণ তো ওই টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একটি দুরভিসন্ধি। এই ফুল দেওয়া কি স্বাস্থ্যসম্মত হবে? কত হাত ঘুরে তা শিক্ষার্থীদের হাতে আসবে। এখানে কি স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে, বা তা সম্ভব?
আমার এই লেখার সময় নিশ্চয়ই তা এতক্ষণে পাশও হয়ে যেতে পারে। কেননা লাভালাভ বলে কথা।
কথা তো অনেক। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক কর্মচারী সংকট। তার ওপর হাজারো বিধিমালা। শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য, এ হবে ‘বোঝার ওপর শাকের আটি।’ আর এই বোঝা চাপানোর জন্য কর্মকর্তাদের তা হবে—লাভে লাভ।
দীর্ঘদিন ধরে নানা পদে শূন্যতা পূরণ না করে, বেতন ভাতাদি না দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থায় যে অরাজক অবস্থা সৃষ্টি করা হয়েছে এবং এতদিন মাদ্রাসা খোলা রেখে এবং সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থা বন্ধ রেখে যে ক্ষতি তারা করলেন এখন ফুল দিয়ে ‘গরু মেরে জুতা দান’ প্রবাদ বাক্যের যথার্থতাই তো প্রমাণ করবেন।