ইউটিউব, ফেসবুকসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালাবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
সংস্থাটি বলছে, এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত, সামাজিক, ধর্মীয় বা রাষ্ট্রীয় বিষয়ে যেকোনো আপত্তিকর কনটেন্ট দ্রুত শনাক্ত এবং অপসারণ করা যাবে।
সম্প্রতি আলোচিত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পরীমনি ও পুলিশ কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েনের ব্যক্তিগত ও গোপনীয় ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে পুলিশ বিভাগসহ দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
এছাড়া কলেজছাত্রী মুনিয়া ও জেকেজি হেলথকেয়ারের ডা. সাবরিনার ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও ফাঁস হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
জনগণের ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছেন উচ্চ আদালত। নানা সমালোচনার মুখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ ইন্টারনেটভিত্তিক সব ওয়েবসাইট ২৪ ঘণ্টা নজরদারির আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে বিটিআরসি।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর শিকদার বলেছেন, “আমরা ইতোমধ্যেই সাইবার সিকিউরিটি সেল নামে একটি বিশেষ সেল গঠন করছি। নজরদারি চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপন করছি।”
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আফজাল হোসেন বলেন, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যারা অপব্যবহার করছে কিংবা যেসব আপত্তিকর কনটেন্ট, ভিডিওর ফলে শিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তা দ্রুত অপসারণে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।”
এর আগে গত এক বছরে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রায় ৫ হাজার আপত্তিকর কনটেন্ট অপসারণ করেছে বিটিআরসি।
এদিকে বিটিআরসির ৪৩১টি লিংক বন্ধ করার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ৬২টি লিংক বন্ধ করেছে ইউটিউব।
এছাড়া সিটিডিআরের মাধ্যমে বন্ধ করা হয় ১ হাজার ৬০টি ওয়েবসাইট এবং লিংক।