ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষ দিনগুলোতে নানা শিল্পকর্ম তৈরি করে থাকে সার্চ ইঞ্চিন গুগল। ডুডলের ছবি আর বার্তায় স্মরণ করা হয় এসব দিবসের ইতিহাস ও তাৎপর্য।
শনিবার ডুডলে দেখা গেছে ভারতীয় বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী এবং গণিতবিদ সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে। বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেট মতবাদের কারণে বিশ্বখ্যাত এই বিজ্ঞানীর অবদান উদযাপন করছে গুগল।
১৯২৪ সালের ৪ জুন সত্যেন্দ্রনাথ বসু কোয়ান্টাম ফর্মুলেশন নিয়ে লেখা তার গবেষণাপত্রটি নোবেলজয়ী পদার্থবিদ অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের কাছে পাঠান। আইনস্টাইন এটিকে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার হিসাবে স্বীকৃতি দেন।
সত্যেন্দ্রনাথ বসু মাত্র ১৫ বছর বয়সে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। উভয় পরীক্ষাতেই প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি।
১৯১৭ সাল থেকে পদার্থবিদ্যায় অধ্যাপনা শুরু করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্ল্যাঙ্কের বিকিরণ সূত্র শেখানোর সময় তিনি নিজস্ব তত্ত্ব নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন।
তবে তার গবেষণাপত্রটি প্রকাশের আবেদন ফিরিয়ে দেয় দ্য ফিলোসফিক্যাল ম্যাগাজিন। পরে সরাসরি এটি আলবার্ট আইনস্টাইনের কাছে পাঠান তিনি।
আইনস্টাইন সত্যেন্দ্রনাথ বসুর সমীকরণ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেছেন। সত্যেন্দ্রনাথ বসুর মতবাদ কোয়ান্টাম তত্ত্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারগুলোর মধ্যে অন্যতম। যৌথভাবে এটি বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান হিসেবেও পরিচিত। ‘বোস পরিসংখ্যান’ অনুসরণকারী কণা ‘বোসন’ নামেও পরিচিত।
পদার্থবিজ্ঞানে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে পদ্মবিভূষণে ভূষিত করে ভারত সরকার। তাঁকে জাতীয় অধ্যাপকের স্বীকৃতিও দেওয়া হয়েছিল।