• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কেন চ্যাটজিপিটির থেকে এগিয়ে জিপিটি-৪


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০২৩, ০১:৩১ পিএম
কেন চ্যাটজিপিটির থেকে এগিয়ে জিপিটি-৪

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির কল্যাণে পৃথিবীতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। আর প্রযুক্তির সবচেয়ে আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। যা নিয়ে মানুষের আগ্রহ কিংবা চিন্তার কোনো কমতি নেই। তাই তো ২০২৩ সালে এসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন চ্যাটবট ‘চ্যাটজিপিটির’ জয়জয়কার চলছে।

২০২২ সালের নভেম্বরে অ্যাপটি চালু হওয়ার পর থেকে কয়েক লাখ মানুষ এটি ব্যবহার করছেন। গান, কবিতা, ডিজিটাল মার্কেটিং কপি, কম্পিউটার কোড তৈরি করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে এটি। নতুন এই প্রযুক্তিকে যারা দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করতে পেরেছেন, তারা এর কার্যক্ষমতা দেখে অভিভূত।

সম্প্রতি চ্যাটজিপিটির সর্বশেষ সংস্করণ বা আপডেট ভার্সন ‘জিপিটি-৪’ প্রকাশ করেছে ওপেনএআই। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, নতুন এই সংস্করণ বর্তমান চ্যাটজিপিটি-৩.৫-এর থেকেও ৫০০ গুণ বেশি শক্তিশালী। যেখানে চ্যাটজিপিটি-৩.৫ এ ব্যবহৃত হয়েছে ১৭৫ বিলিয়ন মেশিন লার্নিং প্যারামিটার। সেখানে জিপিটি-৪ ভার্সনে ১০০ ট্রিলিয়ন প্যারামিটার।

নিচের ছবিতে লক্ষ করলে সহজেই বোঝা যায় কেন জিপিটি-৪ এগিয়ে এবং এটি কতটা শক্তিশালী।

মূল পার্থক্যটা হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন চ্যাটজিপিটি-৩.৫ কেবল চ্যাট (কথোপকথন) করতে সক্ষম। অপরদিকে সেখানে জিপিটি-৪ ভিডিও, ছবি, সাউন্ডের মতো ডেটাও প্রসেস করতে পারবে। জিপিটি-৪ সংস্করণটি একটি ছবি বা চিত্রের যাবতীয় বিশ্লেষণ করতে সক্ষম। সফটওয়্যারটি ছবিতে কী আছে, সেটি বলার পাশাপাশি ছবি সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক তথ্যও তৈরি করতে পারে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে ছবি সম্পর্কে প্রায় কাছাকাছি ধারণা দিতে সক্ষম জিপিটি-৪। এ জন্য দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য সফটওয়্যারটি সহায়ক হবে।

জিপিটি-৩.৫ এবং চ্যাটজিপিটির পুরোনো সংস্করণে চ্যাটের সীমা ছিল ৪ হাজার ৯৬টি টোকেন, যা প্রায় আট হাজার শব্দের চ্যাট করতে পারে। অথবা একটি বইয়ের প্রায় চার থেকে পাঁচ পৃষ্ঠা মনে রাখতে পারে। সুতরাং এর অধিক টেক্সট চ্যাটজিপিটি ভুলে যায়। অথচ জিপিটি-৪-এর সর্বোচ্চ টোকেন সংখ্যা ৩২ হাজার ৭৬৮। এটি প্রায় ৬৪ হাজার শব্দের বা ৫০ পৃষ্ঠার টেক্সট মনে রাখতে সক্ষম। অর্থাৎ জিপিটি-৪ এর স্মৃতি শক্তি আগের ভার্সনগুলোর তুলনায় অনেক বেশি।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সব থেকে বড় আকর্ষণ হলো এর ব্যক্তিত্ব। আর এই জায়গাটিতেই বাজিমাত করেছে জিপিটি-৪। প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যক্তিত্বে পরিবর্তন আনতে পারে বলেই বাকি সবগুলোর থেকে আলাদা জিপিটি-৪। এককথায় ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী আচরণ পরিবর্তন করার ক্ষমতা রয়েছে জিপিটি-৪-এর।

এআই জগতে ইংরেজিভাষীদের আধিপত্য বেশি। তথ্য থেকে শুরু করে পরীক্ষা এবং গবেষণাপত্র পর্যন্ত সবকিছুই ইংরেজিতে। তবে জিপিটি-৪ ইতালিয়ান, ইউক্রেনীয় ও কোরিয়ানসহ ২৬টি ভাষায় নির্ভুলভাবে হাজার হাজার প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম।

সর্বোপরি বর্তমানের চ্যাটবটগুলো যতই সঠিক কাজ করুক না কেন, এগুলো সহজেই বিভ্রান্ত হয়ে যায়। অন্যদিকে জিপিটি-৪ অত্যন্ত দক্ষ। অনেকগুলো বিষয়ে সফটওয়্যারটিকে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। ব্যবহারকারীরা এক-দুই বছর ধরে ওপেনএআইকে সহযোগিতা করেছে, যাতে অপরাধমূলক কোনো পরামর্শ না দেওয়া হয়। এ জন্য নতুন মডেলটি এর আগের তুলনায় বাস্তবসম্মত ও পরিচালনযোগ্য।

Link copied!