বাজারে আসার মাত্র পাঁচদিনের মাথায় মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের প্রতিদ্বন্দ্বী থ্রেডস গড়েছে নতুন রেকর্ড। ইতোমধ্যেই থ্রেডসের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। এর মাধ্যমে দ্রুত সময়ে ১০ কোটি ব্যবহারকারী পাওয়া চ্যাটজিপিটিকেও ছাড়িয়ে গেছে মার্ক জুকারবার্গের মেটার নতুন এ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ৬ জুলাই ইলন মাস্কের মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের বিকল্প হিসেবে মার্ক জাকারবার্গ ‘থ্রেডস’ নামে একটি অ্যাপ নিয়ে আসেন। যা ইনস্টাগ্রামের সঙ্গে লিংক করা। নতুন এ অ্যাপটি অ্যাপল স্টোর ও গুগলের প্লে-স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তারকা; সবাই যুক্ত হচ্ছেন থ্রেডসে।
মেটার ইনস্টাগ্রামভিত্তিক এই নতুন অ্যাপটিকে ‘টুইটার কিলার’ হিসেবে অভিহিত করেছেন অনেকে। তাদের মতে, টুইটার সাম্প্রতিক সময়ে তাদের অ্যাপে যেসব পরিবর্তন এনেছে, সেগুলো নিয়ে অনেক ব্যবহারকারীই ত্যক্ত-বিরক্ত। যেহেতু থ্রেডসের ফিচারগুলো অনেকটা টুইটারের মতোই। তাই তারা টুইটার ছেড়ে থ্রেডসের দিকে ঝুঁকতে পারেন।
অ্যাপটি লঞ্চের ২ ঘণ্টার মধ্যেই থ্রেডস এ ২০ লাখ ব্যবহারকারী নিবন্ধন করে। আর প্রথম চার ঘণ্টায় ৫০ লাখ এবং ৭ ঘণ্টায় ১ কোটি ব্যবহারকারী নিবন্ধন করেছেন।
সোমবার থ্রেডসে একটি পোস্ট করেন মার্ক জুকারবার্গ। এতে তিনি জানান, তারা এই অ্যাপ সংক্রান্ত সব প্রমোশন এখনো চালুই করেননি, এর আগেই এটি ১০ কোটি ব্যবহারকারী পেয়ে গেছে। আর যারা অ্যাপটিতে যুক্ত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই আপনা আপনি এসেছেন।
দ্রুত গতিতে ১০ কোটির মাইলস্টোন স্পর্শ করার ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটির চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে থ্রেডস। চ্যাপজিপিটির ১০ কোটি ব্যবহারকারী পেতে সময় লেগেছিল ২ মাস। সেখানে থ্রেডস এই ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়েছে মাত্র ৫ দিনে।
থ্রেডস, টুইটারকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে জাকারবার্গ বলেন, “এ রকম হতে কিছু সময় লাগবে। কিন্তু আমার মতে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম থাকা উচিত, যেখানে ১০০ কোটির বেশি মানুষ থাকবে এবং উন্মুক্ত আলোচনা করা যাবে। টুইটারের সে সুযোগ ছিল, কিন্তু তারা সে সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেনি। আশা করি আমরা পারব।”
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে এটির যাত্রা এখনো শুরু হয়নি। ইনস্টাগ্রামে দুই বিলিয়নের বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে অন্যদিকে ৩৬৪ মিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে টুইটারের।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টুইটারের সাদৃশ্য বেশ কয়েকটি অ্যাপ বাজারে এসেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্রুথ সোশ্যাল এবং মাস্টোডনর নাম। তবে ৪৪ বিলিয়ন ডলারের টুইটারের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো কিছু করে দেখাতে পারিনি এগুলো।