আমাদের মিল্কিওয়ে ছায়াপথে (গ্যালাক্সি) ধুলা ও গ্যাসের বলয় দিয়ে তৈরি রহস্যময় এক বস্তুর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যেটি ছায়াপথের প্রায় কেন্দ্রস্থলে অবস্থান করছে। বস্তুটি ঘণ্টায় প্রায় ১ লাখ ১২ হাজার মাইল বেগে ছুটে চলছে। যা থেকে মাইক্রোওয়েভ নির্গত হচ্ছে।
মহাকাশবিষয়ক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটারসে নতুন বস্তুটি বিষয়ে তথ্যাদি প্রকাশ করা হয়েছে। রহস্যময় এই বস্তুটি আবিষ্কার করা হয়েছে চিলির অ্যাটাকামা লার্জ মিলিমিটার/সাবমিলিমিটার অ্যারে মানমন্দির থেকে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মিল্কিওয়ে ছায়াপথে এ পর্যন্ত সন্ধান পাওয়া কোনো বস্তুর সঙ্গে নতুন বস্তুর মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। রহস্যময় এই বস্তুটি বিষয়ে প্রথম বিজ্ঞানীরা ধারণা করেছিলেন, ব্ল্যাকহোল থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া কোনো মেঘ বা নক্ষত্র হতে পারে। তবে খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণের পরও বস্তুটির পরিচয় সম্পর্কে শেষ অবধি নিশ্চিত হতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা।
মহাকাশের অসংজ্ঞায়িত বস্তু যেমন প্রোটোস্টেলার আউটফ্লো, ধসে পড়া মেঘ, বিবর্তিত নক্ষত্র, হাই-ভেলোসিটি কমপ্যাক্ট ক্লাউডসহ বিভিন্ন বস্তুকে একই দলে রাখা হয়। তবে নতুন সন্ধান পাওয়া বস্তুটির সঙ্গে পুরোনো কোনো বস্তুর তথ্যই মিলছে না।
ছায়াপথে রহস্যময় সেই বস্তুর সন্ধান পাওয়ার ঘটনা তুলে ধরে বিজ্ঞানী অ্যাডাম গিন্সবার্গ বলেন, ‘আমাদের গ্যালাক্সির কেন্দ্রে একটি বিশেষ অঞ্চল পর্যবেক্ষণের সময় বস্তুটি প্রথম শনাক্ত করা হয়। মানমন্দিরে বস্তুটি থেকে আসা বিকিরণের তথ্যও শনাক্ত করা হয়েছে। বস্তুটিতে থাকা গ্যাসের তাপমাত্রা শূন্যের নিচে প্রায় ৪৩৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট।
বিজ্ঞানী অ্যাডাম গিন্সবার্গ বলেন, ‘আমাদের গ্যালাক্সির কেন্দ্রে রয়েছে কোটি কোটি নক্ষত্র। আরও আছে গ্যাসের কুণ্ডলী ও সুপার ম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল। এখানে এখনও নক্ষত্র গঠন হচ্ছে। অবশিষ্টাংশকে নাক্ষত্রিক কবরস্থান বলা যায়, যেখানে বিভিন্ন বিস্তৃত ধ্বংসাবশেষ অবস্থান করছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ ধরনের বস্তুকে জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় মিলিমিটার আলট্রা-ব্রড লাইন অবজেক্ট হিসেবে বিবেচনা করা হয়।