১৯৭০–এর দশক থেকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে খাদ্যশস্য ও গাছপালা উৎপাদনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মহাকাশচারী ও বিশেষজ্ঞরা। ২০১৫ সালে মহাকাশে ফুল জন্মানোর গবেষণাও শুরু হয়েছিল। অবশেষে দীর্ঘ ৯ বছর গবেষণার পর মঙ্গলবার মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা একটি জিনিয়া ফুলের ছবি পোস্ট করে লিখেছে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে সবজি উৎপাদনসংক্রান্ত গবেষণার অংশ হিসেবে কক্ষপথে জিনিয়া ফুলটি ফুটেছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিওটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, জিনিয়া ফুলটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে (আইএসএস) জন্মেছে। মহাকাশচারী কেউলি লিন্ডগ্রেন মহাকাশে জিনিয়া ফুলের বীজটি লাগিয়েছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে নিজেদের অ্যাকাউন্টে ফুলের ছবি পোস্ট করে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা লিখেছে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে সবজি উৎপাদনসংক্রান্ত গবেষণার অংশ হিসেবে কক্ষপথে জিনিয়া ফুলটি ফুটেছে। বিজ্ঞানীরা ১৯৭০-এর দশক থেকে মহাকাশে উদ্ভিদ নিয়ে গবেষণা করছেন। তবে ফুল নিয়ে গবেষণাটি শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালে। মহাকাশচারী কেউলি লিন্ডগ্রেন এ কাজটি শুরু করেছিলেন।
মহাকাশে বাগানের গুরুত্ব তুলে ধরে নাসা আরও লিখেছে, “মহাকাশে বাগান করাটা আমাদের জন্য লোক দেখানো কোনো বিষয় নয়। কক্ষপথে কীভাবে গাছ জন্মাতে হবে, তা জানার মধ্য দিয়ে আমরা বুঝতে পারব পৃথিবীর বাইরে কীভাবে শস্য উৎপাদন করা যায়। আমরা চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহের মতো দীর্ঘমেয়াদি অভিযানগুলোতে টাটকা খাবারের উৎস তৈরি করতে পারব।”
মহাকাশচারীরা ইতোমধ্যেই আইএসএস-এ টমেটো, লেটুস এবং অন্যান্য সবজি চাষ করেছেন। আরও নতুন কিছু চাষাবাদের স্বপ্ন দেখছেন তারা।
২০১৭ সালে নাসা বলেছিল, মহাকাশে জিনিয়া ফুল ফোটানোর চ্যালেঞ্জিং প্রক্রিয়া বিজ্ঞানীদের বুঝতে সাহায্য করবে যে কীভাবে মাইক্রোগ্র্যাভিটির মধ্যেও গাছ জন্মানো যাবে। আর মহাকাশচারীরা এর মধ্য দিয়ে মহাকাশে নিজস্ব বাগান তৈরির চর্চা করতে পারবেন।