সময়ের প্রয়োজনে রোবট এখন আর বিলাসী পণ্য নয়, বর্তমানে এটি প্রয়োজনীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেছেন, “দেশের তরুণরা যেন আধুনিক প্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে পারে। সেই লক্ষ্যে আগামী রোবট অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতার আগেই জেলা, উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়ে স্থাপিত ৩০০টি স্কুল অব ফিউচারে একটি করে ড্রোন, থ্রিডি প্রিন্টার, এআর, ভিআর ও আধুনিক ল্যাব স্থাপন করা হবে।”
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক মিলনায়তনে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ষষ্ঠ বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড ২০২৩ -এর জাতীয় পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমাদের তরুণদের মেধার ঘাটতি নেই উল্লেখ করে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “প্রয়োজন একটু সুযোগ করে দেওয়ার। তাদের যথাযথ সুযোগ ও সহযোগিতা করা হলে তারা শুধু বাংলাদেশের সমস্যার সমাধান করবে না, ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা ২০১৮ সালে ফিলিপাইনে প্রথমবার আন্তর্জাতিক রোবটিক অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করেই স্বর্ণপদক অর্জন করেছে।”
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমাদের মানব সম্পদকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারলে আগামী দিনে যে সকল দেশে সোনা, রুপাসহ খনিজ সম্পদ রয়েছে তাদের চেয়েও বাংলাদেশ আরও সমৃদ্ধশালী হবে।”
পলক বলেন, “আমাদের সবকিছু স্মার্ট ডিভাইস নির্ভর হয়ে গেছে। সেই বাস্তবতা থেকেই এখন যোগাযোগ, কৃষি, স্বাস্থ্য-শিক্ষাসহ সব ক্ষেত্রেই রোবটের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।”
পলক আরও বলেন, “জাপান যদি রোবটকে কাপড় কাটা শিখিয়ে ফেলে তবে ঝুঁকিতে পড়বে দেশের তৈরি পোশাক খাত। তাই রোবট বানানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ও কষ্টকর কাজে সেই রোবট আমরা ব্যবহার করব। বিদেশেও রপ্তানি করব।”