• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভিনগ্রহ থেকে রেডিও সংকেত আসছে, যা বললেন বিজ্ঞানীরা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২৩, ০৩:৩৩ পিএম
ভিনগ্রহ থেকে রেডিও সংকেত আসছে, যা বললেন বিজ্ঞানীরা

‘ওই মহাসিন্ধুর ওপার থেকে কি সংগীত ভেসে আসে…’ দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ও মান্না দের এই অবিস্মরণীয় গানটি নিশ্চয় আপনি শুনেছেন? এবার এই গানের কথাগুলো যে সত্যি হলো। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মহাকাশে রেডিও সিগন্যালের সন্ধান পেয়েছেন তারা। এর ফ্রিকোয়েন্সি ও পৃথিবীতে আসার সময় হিসাব করে দেখেছেন পৃথিবী থেকে ১২ হাজার আলোকবর্ষ দূরের কোনো গ্রহ কিংবা নক্ষত্র অর্থাৎ এক্সোপ্ল্যানেট থেকে এ সিগন্যাল আসছে।

বিজ্ঞানীদের মনে প্রশ্ন জেগেছে, কে বা কারা পাঠাচ্ছে এই রেডিও সিগন্যাল। তাহলে কি পৃথিবীর বাইরেও প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে? এলিয়েন নিয়ে আমাদের কৌতূহলের শেষ নেই। ভিনগ্রহীদের সঙ্গে বিশ্ববাসীর যোগাযোগ স্থাপন নিয়েও উৎসাহ তুঙ্গে বিজ্ঞানীদের।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। ইউএস ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের (এনএসএফ) গবেষকরা বলেছেন, রেডিও সিগন্যালটি একটি পাথুরে গ্রহ থেকে আসছে।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ওয়াইজেড কেটি নামের কোনো নক্ষত্র থেকে নির্দিষ্ট সময় পরপর এই শক্তিশালী বেতার বার্তা আসছে। নিউ মেক্সিকোতে বসানো কার্ল জি. জ্যান্সকি নামক শক্তিশালী টেলিস্কোপটি দিয়ে তার খোঁজও চালানো হচ্ছে। যদিও সেই সিগন্যালের অর্থ এখনো অধরাই রয়েছে। গ্রহ হোক কিংবা নক্ষত্র, ম্যাগনেটিক ফিল্ড না থাকলে এমন শক্তিশালী রেডিও সিগন্যাল পাঠানো অসম্ভব। যেহেতু একাধিকবার সিগন্যাল পৃথিবীতে এসে পৌঁছেছে, তার সঠিক অবস্থান ও উত্তর পেতে মরিয়া মহাকাশ গবেষকেরাও।

ন্যাশনাল রেডিও অ্যাস্ট্রোনমি অবজারভেটরির প্রোগ্রাম ডিরেক্টর জো পেস বলেছেন, এই বিশেষ পাথুরে এক্সোপ্ল্যানেটের সম্ভবত একটি চৌম্বক ক্ষেত্র রয়েছে। তবে আমরা এটি খুঁজে পেতে কাজ করে যাচ্ছি।

এ প্রসঙ্গে কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের গবেষক সেবেস্তিয়ান পিনেডা বলেন, আমরা একটি প্রাথমিক সিগন্যাল বার্স্ট লক্ষ্য করি। সত্যিই সেটা চমকে দেওয়ার মতো। এরপর বেশ কয়েকবার এই সিগন্যাল আসে, যা বুঝিয়ে দেয়, হয়তো কোথাও কিছু একটা রয়েছে।

মহাকাশ বিজ্ঞানের ভাষায়, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে যে চৌম্বকীয় ক্ষেত্র (ম্যাগনেটিক ফিল্ড) রয়েছে তা বহির্বিশ্বের ক্ষতিকর রশ্মিকে (এনার্জি পার্টিকল ও প্লাজমা রশ্মি) আটকে প্রাণ বাঁচানোর কাজ করে চলেছে। পাশাপাশি এই ক্ষেত্রটি আছে বলেই রেডিও সিগন্যালও সেই মতো কাজ করে ও বাইরের থেকে এই নিয়মে সংকেত পাঠানো যায়। তবে কি এমন কোনো পৃথিবী মহাকাশে আছে, যেখানে প্রাণের স্পর্শ রয়েছে, যারা পাঠাচ্ছে এই রেডিও সিগন্যাল? 

Link copied!