সাত দিনের মাথায় আবারও বন্ধ করা হয়েছে ফোর-জি নেটওয়ার্ক। রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার পর সরকারি একটি সংস্থার নির্দেশে ফোর-জি সেবা বন্ধ করা হয়। তবে কী কারণে ইন্টারনেট বন্ধ করা হলো সে বিষয়ে জানা যায়নি। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে কেন্দ্র করে এর আগেও ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছিল।
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যেই গত ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে ফেরে।
এর দশদিন পর গত ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু করা হয়। যদিও বন্ধ থাকে মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম। এছাড়া টিকটকও বন্ধ রাখা হয়।
অন্যদিকে ব্রডব্যান্ড সংযোগে ইউটিউব চালু থাকলেও মোবাইল ডেটায় তা বন্ধ ছিল। গত ৩১ জুলাই বেলা ২টার পর থেকে বাংলাদেশে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো চালু করা হয়।
তবে শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১২টার পর মোবাইল নেটওয়ার্কে মেটার প্ল্যাটফর্মগুলোর ক্যাশ বন্ধ করা হয়। পাশাপাশি এই নেটওয়ার্কে টেলিগ্রামও বন্ধ করা হয়। সেদিন সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার পর তা আবার চালু করা হয়েছিল।
একদিন পর শনিবার (৩ আগস্ট) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে এক দফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পরদিন রোববার (৪ আগস্ট) এ অসহযোগ আন্দোলনে রাজধানীসহ সারা দেশে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে হঠাৎ করেই মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হলো। পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপও। একটি বেসরকারি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলছেন, “এটা এখন আর আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। তবে আমরাও দেখছি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।”
সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়েছে। এই আন্দোলনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।