ফুচকার নাম শুনলেই অনেকের জিভে পানি চলে আসে। বিশেষ করে ফুচকা পছন্দ করেন না এমন নারী খুঁজে পেতে বেশ বেগ পেতে হবে। স্ট্রিটফুড হিসেবে ফুচকা এতটাই জনপ্রিয় যে, নানা জায়গায় তার নানা অবতার। ভারতে গোলগাপ্পা, পানিপুরি নামে পরিচিত হলেও বাংলাদেশে এটি ফুচকা হিসেবেই পরিচিত। ফুচকার স্বাদে মজে থাকেন আট বছরের শিশু থেকে আশি বছরের বৃদ্ধ পর্যন্ত।
মূলত বিশেষ দিন, বিশেষ ব্যক্তি কিংবা আবিষ্কার নিয়ে সার্চ বক্সের ওপরে নিজেদের লোগোর পরিবর্তে এর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নকশার যে লোগো তৈরি করে গুগল, তাকেই বলা হয় ডুডল।
বুধবার (১২ জুলাই) সকাল গুগল তাদের ডুডলে আচমকাই ফুচকা নিয়ে এসেছে। গুগল খুললেই দেখা মিলছে ফুচকার। কিন্তু এই ফুচকা বা পানিপুরি কেন হঠাৎ স্থান পেল গুগলের ডুডলে? এর পেছনে রয়েছে ৮ বছর আগের একটি ঘটনা।
২০১৫ সালের ১২ জুলাই ভারতের ইন্দোরে এই ফুচকা বা পানিপুরি নিয়ে ঘটেছিল একটি ঘটনা। সে দিন এই শহরের একটি দোকান একটি বিশ্বরেকর্ড করে ‘গোল্ডেন বুক অব ওয়ার্ড রেকর্ডস বা জিবিডব্লিউআর এ নাম লিখিয়েছিল। কী হয়েছিল সে দিন? এই দোকানে ৫১টি স্বাদের ফুচকা তৈরি করা হয়। তার মধ্যে চেনা টক-ঝাল ফুচকা বা পানিপুরি যেমন ছিল, তেমনই ছিল মিষ্টি চকোলেট ফুচকাও। সব মিলিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয় সেই বিশ্বরেকর্ড নিয়ে।
বিশ্বরেকর্ডের আট বছর পরে গুগল এবং ভালবাসা ও সম্মান জানাল ফুচকা বা পানিপুরিকে। বুধবার অর্থাৎ ১২ জুলাই একটি ডুডল বানানো হয় গুগলের পক্ষ থেকে। তবে সেটি নিছক একটি অ্যানিমেটেড ডুডল নয়, তার সঙ্গে একটি মজাদার খেলাও রয়েছে। এই ভিডিও গেমটি নিয়েও সকাল থেকে মেতে উঠেছে নেটিজেনরা।
শুধু ভারতেই নয়, দেশটির বাইরে এশিয়ার আরও কিছু অংশেও বিশেষ করে বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড হল এই ফুচকা বা পানিপুরি। তেলেভাজা এই খাবারটি তেঁতুল পানির সঙ্গে মিশিয়ে পরিবেশন করা হয়। ভিতরে সাধারণত আলু ভর্তা থাকে। তবে ইদানীং আরও নানা উপাদান ব্যবহার করতে দেখা গেছে।