সবশেষ সৌরঝড় শেষ হওয়ার প্রায় এক সপ্তাহ হয়েছে। সে সৌরঝড়ের আঁচ এসে লেগেছিল পৃথিবীতে। যদিও এটি অপেক্ষাকৃত ছোট ছিল, যার কারণে পৃথিবীতে খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারেনি। এরপরও বেতার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল কিছু সময়ের জন্য।
তবে এবার পৃথিবীতে একটি বড় সৌরঝড় আঘাত হানার বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, পূর্বের সৌরঝড়ের প্রভাব সবচেয়ে বেশি ছিল ভারত মহাসাগরে, তবে সেটি ছিল ছোট। এবারের সৌরঝড়টি আকারে বড়।
প্রাথমিকভাবে এ সৌরঝড়টির প্রভাব পড়বে আজ বুধবার (১৯ এপ্রিল)। তবে বৃহস্পতিবার পৃথিবীতে এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। অন্যদিকে নাসার বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছেন, যদি এই সৌরঝড়টি সরাসরি পৃথিবীতে আঘাত হানে, তাহলে এর প্রভাব আরও বিপজ্জনক হতে পারে।
স্পেস ওয়েদার ওমেন নামে পরিচিত মহাকাশ আবহাওয়ার বিজ্ঞানী তামিথা স্কোভ এ তথ্যগুলো জানিয়েছেন। তিনি এক টুইটে লিখেছেন, “অরোরার জন্য প্রস্তুত? সরাসরি একটি সৌরঝড়ের আঘাত আসছে।”
নাসা জানিয়েছে, সৌরঝড়ের প্রভাবে ফাটল ধরতে পারে পৃথিবীর আবরণের চৌম্বক ক্ষেত্রে। ফলে বেতার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া, জিপিএস বিচ্ছিন্ন হওয়া, মোবাইল নেটওয়ার্ক, এমনকি ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। এমনকি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নও হতে পারে এই সৌরঝড়ের জন্য।
এর আগে গত ২৩ মার্চ নাসার বিজ্ঞানীরা সূর্যের পৃষ্ঠে বিশাল এক কালো গর্ত আবিষ্কার। সূর্যের দক্ষিণ মেরুর দিকে তৈরি হয়েছে এই ভয়ানক কালো গর্ত। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘করোনল হোল’।
বিজ্ঞানীদের ভাষ্যমতে, সূর্যের একটি বড় অংশ অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে। তার ফলেই দেখা দিয়েছে এত বড় গর্ত। যা পৃথিবীর তুলনায় প্রায় ২০ গুণ বড়। তবে ভয়ের আসল কারণ অন্য জায়গায়। তাদের মতে, এই বিশাল গর্তের কারণে বারবার তীব্র সৌরঝড়ের সৃষ্টি হচ্ছে।